ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ, মারিউপুল দখলের ঘোষণা রাশিয়ার
প্রকাশিত : ১৫:২২, ২১ মে ২০২২ | আপডেট: ১৫:২৩, ২১ মে ২০২২
ইউক্রেন আজভস্টাল স্টিল কারখানায় লুকিয়ে থাকা শেষ সেনা সদস্যদের অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দেয়ার পর মাসব্যাপী লড়াইয়ে কৌশলগত বন্দর নগরী মারিউপুল দখলের বিজয় ঘোষণা করেছে রাশিয়া।
ইতিমধ্যে মস্কোর হামলায় মারিউপুল শহর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
এদিকে, একটি প্রসূতি ওয়ার্ডে হামলায় বহু হতাহতের ঘটনাসহ একাধিক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন এবং বন্দী রুশ সেনাদের বিচারের জন্য কিয়েভ আইনি কার্যক্রম শুরু করেছে। ২১ বছর বয়সী রাশিয়ান সৈনিক সার্জেন্ট ভাদিম শিশহিমারিন কিয়েভ ঘিরে রাশিয়ান হামলার সময় একজন নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। রাশিয়ার আগ্রাসন পরবর্তী প্রথম বিচার কার্যক্রমে কিয়েভ এই সৈনিকের বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সোমবার এই রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
শিশিরমারিন আদালতকে বলেছেন যে, তিনি ‘সত্যিই দুঃখিত’। তবে তার আইনজীবী শেষ যুক্তিতে বলেছেন, ‘এই তরুণ সৈনিক পূর্বপরিকল্পিত হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী নন।’
ইউক্রেনীয় বাহিনী কিয়েভের চারপাশে রুশ হামলা প্রতিহত করার পর থেকে পূর্ব ইউক্রেন এবং দক্ষিণে মারিউপুল রাশিয়ার আর্টিলারি এবং কামানের বর্বর স্থল হামলার শিকার হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের পূর্বঞ্চলে ক্রেমলিনপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রিত রাশিয়ান-ভাষী এলাকা দনবাসের লড়াই সবচেয়ে ভয়ংকর।
‘দনবাসে হামলা অব্যাহত রয়েছে। তারা মারিউপুলের মতো রুবিঝন, ভনোকভাক্কা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে’, উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার গভীর রাতের ভিডিও ভাষণে বলেছেন, ‘রাশিয়ানরা সেভেরোডোনেটস্ক এবং অন্যান্য শহর একইভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
আঞ্চলিক গভর্ণর বলেছেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোডোনেটস্কে রাশিয়ার হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কো বলেছেন, ‘১৬ মে থেকে আজভস্টাল স্টিল কারখানায় অবরুদ্ধ ২ হাজার ৪৩৯ জন ইউক্রেন সৈন্য আত্মসমর্পন করেছে। সর্বশেষ শুক্রবার ৫০০ জন আত্মসমর্পন করে।’
কোনাশেঙ্কো বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু আজভস্টাল শিল্প কমপ্লেক্স এবং মারিউপুল শহর মুক্ত করার এবং অভিযানের সমাপ্তি সম্পর্কে পুতিনকে অবহিত করেছেন। ইউক্রেনে বন্দী রাশিয়ান সেনা এবং আজভস্টালে আত্মসমর্পনকারী সৈন্যদের বিনিময়ের আশা করছে। কিন্তু ডোনেটস্কে ক্রেমলিনপন্থী কর্তৃপক্ষ তাদের কয়েকজনের বিচারের মুখোমুখি করার হুমকি দিচ্ছে।’
এসএ/
আরও পড়ুন