তাইওয়ান ইস্যুতে বাইডেনের হুঁশিয়ারি, চীনের কড়া প্রতিক্রিয়া
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ২৪ মে ২০২২
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে মনোমালিন্য দীর্ঘ দিনের। সাম্প্রতিক সময়ে সেই মনোমালিন্য গিয়ে ঠেকেছে চরম বিবাদে। যা বিশ্বের বিশেষ চিন্তা ও কড়া দৃষ্টিপাতেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন সময় তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর তার সেই বক্তব্যকে ভালো চোখে নেয়নি চীন।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেছেন যে, চীন প্রতিবেশী তাইওয়ানে সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে থাকবে না। তাইওয়ানকে রক্ষায় প্রয়োজনে চীনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবে তার দেশ।
তাইওয়ান প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, “আমরা এক চীন নীতিতে সম্মতি দিয়েছি। কিন্তু জোর করে (তাইওয়ানকে) নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনাটা একেবারে জুতসই নয়। এতে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং ইউক্রেনের মতো একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।”
আর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেইজিং।
এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে বলেন, “নিজস্ব ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের জনগণের দৃঢ় সংকল্প ও সক্ষমতাকে কেউ অবজ্ঞা করতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে চীন কখনোই আপস করবে না, ছাড়ও দেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এটা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয় নিয়ে বাইরের কারও কথা বলার অধিকার নেই। চীন সব সময় তার ১৪০ কোটি জনগণের শক্তি নিয়ে জাতীয় স্বার্থরক্ষা করবে।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইডেনের সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের হুমকি তাইওয়ান ইস্যুতে নীতি পরিবর্তন করে কঠোর পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাইওয়ানের আকাশে প্রায়ই চীনা যুদ্ধবিমানের প্রবেশ এবং তাইওয়ান প্রণালিতে চীনে নৌবাহিনীর মহড়াসহ নানাভাবে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের কথা প্রায় সবারই জানা। এবার এই বিষয় নিয়েও কথা বলেন বাইডেন।
তিনি বলেন, “তাইওয়ানের আকাশের কাছে বিমান ওড়ানোসহ অন্যান্য তৎপরতার মধ্য দিয়ে চীন ‘বিপদ নিয়ে খেলছে’।”
যদিও তাইওয়ান সরকারকে অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ থাকলেও, চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
আরএমএ/ এসএ/
আরও পড়ুন