ঢাকা, সোমবার   ০৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভিয়েনায় উইঘুরদের বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩০, ৩১ মে ২০২২

Ekushey Television Ltd.

জিনজিয়াংয়ে চীনা নৃশংসতার বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছে দেশটিতে অবস্থানরত উইঘুর সম্প্রদায়। গত রোববার ভিয়েনার স্টেট অপেরা হাউসের পাশে হার্বার্ট-ভন-কারজান-প্ল্যাটজে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বিক্ষোভকারীরা স্বজনদের নাম ও ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। যাদের চীনা কর্তৃপক্ষ বন্দিশিবিরে বন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

মানবাধিকার সংস্থাগুলো চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে নিরাপত্তার নামে জিনজিয়াংয়ে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। যার মধ্যে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা, পরিবার থেকে আলাদা করে দেওয়া এবং জোরপূর্বক আইসোলেট করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন অস্ট্রিয়ায় উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রেসিডেন্ট মেভলান দিলশাত। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে চীনের ওপর কঠোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।  

মেভলান দিলশাত বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ ও সমালোচনার মুখে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট চীন সফরে গিয়েছেন কিন্তু উইঘুরদের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে যাননি। এসময় উইঘুর ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থানের সমালোচনাও করেন তিনি। 

উল্লেখ্য, উইঘুর মুসলিমদের গণহারে বন্দিশিবিরে পাঠানো, তাদের ধর্মীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জোরপূর্বক পুনঃশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচিত চীনের কমিউনিস্ট সরকার। গত বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' হিসেবে ঘোষণা দেয়।

এরপর ফেব্রুয়ারিতে কানাডিয়ান এবং ডাচ উভয় পার্লামেন্ট উইঘুর সঙ্কটকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। সবশেষ ওই বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যও জিনজিয়াংয়ে চীনের চলমান দমন-পীড়নকে 'গণহত্যা' বলে ঘোষণা দেয়।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি