ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কঠিন পরীক্ষায় জনসন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৮, ৬ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৫:৪৯, ৬ জুন ২০২২

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কঠিন সময় অতিক্রম করছেন। সামনে তার নেতৃত্বের পরীক্ষা। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’র দায়ে এবার হারাতে পারেন প্রধানমন্ত্রিত্ব। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদি তিনি এ ভোটে হেরে যান, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বিদায় নেবেন।

বিবিসি জানিয়েছে, জনসনের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ভোট হতে যাচ্ছে।

নিয়ম অনুযায়ী, দলের ন্যূনতম ১৫ শতাংশ সাংসদ আস্থা ভোট চেয়ে কনজারভেটিভ পার্লামেন্টারি গ্রুপ ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালে চেয়ারম্যান সেই ভোট ডাকেন। ১৯২২ কমিটির এখনকার চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি।

সোমবার তিনি জানান, আস্থা ভোট চেয়ে আবেদনকারী দলীয় সাংসদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ (এখনকার হিসাবে ৫৪ জন) পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি রোববারই প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন।

যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির ফয়সালা করতে সোমবারই ভোট নেওয়া হচ্ছে বলেও ব্রাডি জানান।

জনসন এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলেছে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট।

গোপন ব্যালটে হতে যাওয়া এ ভোটে দলীয় এমপিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পেলেই এ যাত্রায় টিকে যাবেন জনসন; সেক্ষেত্রে আগামী এক বছর তার বিরুদ্ধে দলের এমপিরা আর নতুন কোনো অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবে না।

আর হেরে গেলে, দলীয় প্রধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হবে তাকে। এমনকী কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের লড়াইয়েও তিনি দাঁড়াতে পারবেন না।

কোভিড মহামারীতে জারি থাকা লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করে মদের পার্টি আয়োজনের কেলেঙ্কারির জেরেই দলের ভেতর নেতৃত্ব নিয়ে এ চ্যালেঞ্জের ‍মুখে পড়লেন জনসন।

২০২০ সালে লকডাউনের মধ্যে দেশবাসীকে বিধিনিষেধে আটকে রেখে তিনি নিজে মদপানের পার্টিতে উপস্থিত থেকেছিলেন; তা নিয়ে শোরগোলের মুখে ক্ষমা চাওয়ার পরপরই সামনে আসে আরেক কেলেঙ্কারির ঘটনা।

২০২১ সালের ১৬ এপ্রিলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, সেসময়ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের পার্টি করেছিলেন। তখনও বদ্ধ জায়গায় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল, প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে চলছিল জাতীয় শোক।

জনসন সেই পার্টিতে উপস্থিত না থাকলেও জাতীয় শোক দিবস এবং জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে এমন পার্টির কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। বার বার ক্ষমা চেয়ে, জরিমানা দিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না তিনি।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি