মিয়ানমারে সেনা ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে নিহত ৯৪
প্রকাশিত : ১৪:৩৮, ১৯ জুন ২০২২

সম্প্রতি সাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, চিত্র- ইরাবতী
মিয়ানমারে গত পাঁচদিনে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯০ সেনা নিহত হয়েছে। এসময় প্রাণ গেছে ৪ প্রতিরোধ যোদ্ধার। স্থানীয় কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর বরাতে রোববার এ হতাহতের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে সাগাইং ও ম্যাগওয়ে অঞ্চলে জান্তাবিরোধী বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এর সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে।
সাগাইং অঞ্চলের মাইনমুর একটি গ্রামের কাছে গত বৃহস্পতিবার মেশিনগানে সুসজ্জিত দুটি সামরিক যানবাহনে অতর্কিত হামলা চালাতে চারটি স্থলমাইন ব্যবহার করেছে জান্তা প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
পিপল’স গেরিলা কমান্ডো (পিজিসি) এর তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করলে ছিটকে পড়ে তারা। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে ইরাবতি স্বাধানীভাবে এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সামরিক বহরে অন্য একটি হামলায় ২০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পিজিসি। গোষ্ঠীটির দাবি, স্থলমাইন ব্যবহার করেই এই হামলা করা হয়েছে এবং এতে সেনাবাহিনীর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার সকালে মনিওয়া-আয়ারদাউ হাইওয়েতে পিডিএফের অতর্কিত হামলায় সাত সেনা নিহত হয়।
এ বিষয়ে পিডিএফ যোদ্ধা কো দাউং হমান বলেন, 'আমরা আমাদের জীবন রক্ষা, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আমাদের জনগণের জন্য লড়াই করছি।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সু চি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা বসে সামরিক সরকার। এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটির লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক। সরকারবিরোধী আন্দোলনে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহতও হয়েছেন। তবে এখনও সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে ছোট ছোট সশস্ত্র জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী।
এনএস//