সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হতে ইইউর প্রতি ভারতের আহ্বান
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ২০ জুন ২০২২
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। এছাড়া শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার বাধাগুলো দূর করতে ইউক্রেন সংকট সমাধানের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি।
জাতিসংঘে ভারতের উপ রাষ্ট্রদূত আর রবীন্দ্র গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য নতুন চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আমাদের অব্যাহত লড়াইয়ে ইইউরএর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ভারত সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি এবং ১৯৮৮ সালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ কমিটির সভাপতি। সেদিক থেকে ভারত চাইবে ইইউ কোনো দ্বিমত ছাড়াই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে সম্মিলিত লড়াই এবং জিরো টলারেন্স নিয়ে একটি একক লড়াইয়ে পরিণত করায় সমর্থন দেবে।”
তিনি বিশ্বে কোভিড মহামারী এবং ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব তুলে ধরে জাতিসংঘ এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং সংযোগ জোরদার করায় গুরুত্ব দেন।
আর রবীন্দ্র বলেন, “বিশ্ব এখন শান্তি ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। কোভিড মহামারী, ইউক্রেন সংকটের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণেও একটি ভারসাম্যহীন প্রভাব ফেলছে।
“আমাদের এখন জাতিসংঘ চার্টারের চ্যাপ্টার ৮ এর আলোকে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সংযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া সংকট মোকাবেলায় আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সংহতির প্রয়োজন।”
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিরসনে সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ভারত সমর্থন করে বলেও জানান তিনি।
ভারতের উপরাষ্ট্রদূত বলেন, “এই সংঘাত বড় ধরনের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অস্থীতিশীলতা তৈরি করছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও সারের সংকট এশিয়াতেও অস্থিরতা তৈরি করছে। ইউক্রেন সংকটের কারণে যেসব দেশের জনগণ ঝুঁকিতে আছে, তাদের সমস্যা দূর করতে ইইউর অগ্রণী ভূমিকা রাখা উচিত।
বহুপাক্ষিক বিশ্বে নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ভারত ইইউর সাথে অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ করে বলে জানান আর রবীন্দ্র।
“ভারত পরিবর্তিত বহুপাক্ষিকতার পক্ষে। আমরা নিরাপত্তা পরিষদসহ বৈশ্বিক বহুপাক্ষিকতার অর্থবহ ও ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছি। জাতিসংঘের সঙ্গে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টার মূলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”
“জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার অগ্রগতিতে ইইউর অবদান উল্লেখযোগ্য। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বোঝা না করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির খোঁজ করতে হবে।”
সূত্র: এএনআই
এএইচএস/ এসবি
আরও পড়ুন