চীনের দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ
প্রকাশিত : ১৭:২৬, ২৪ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৭:২৯, ২৪ জুন ২০২২
চীনের কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব তার দক্ষিণ উপকূলে স্থানান্তরিত হচ্ছে। টেকনোলজির মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শেনজেনে ব্যাপকহারে করোনার পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকাতে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শেনজেন থেকে মাত্র এক ঘণ্টা দূরত্বের ম্যাকাও আট মাস পর আবারও করোনার বিপুল বিস্তৃতি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।
চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শহর বেইজিং এবং সাংহাইয়ে কয়েক মাস কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং বারবার পরীক্ষার পরেও সেখানে নতুনকরে করোনার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
সাংহাইয়ে মঙ্গলবার (২২ জুন) নয়টি এবং বেইজিং এ পাঁচটি নতুন সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়েছে। দেশব্যাপী মঙ্গলবার (২২ জুন) মোট ৩৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে এমন ভয় থেকে স্থানীয় প্রতিনিধিরা প্রাদুর্ভাব রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রদেশগুলোর সীমানা ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ড্যান্ডং প্রদেশ ছয়টি স্থানীয় সংক্রমণ রিপোর্ট করছে। উত্তর-পূর্বের জিলিন শহরে, কোল্ড-চেইন কর্মীদের মধ্যে ১০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
শেনজেনে, আইফোন নির্মাতা হোন হাই প্রিসিশন ইন্ডাস্ট্রি কোং-এর মতো সংস্থাগুলো যেখানে অবস্থিত, সেই ফুটিয়ান এবং লুওহু প্রদেশে কঠোর লকডাউনের আদেশ জারি করা হয়েছে। এই দুইটি প্রদেশই হংকংয়ের সীমান্তবর্তী। সেখানে উপসর্গবিহীন কয়েকটি সংক্রমণ রিপোর্ট করার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) শহরটিতে দুটি স্থানীয় সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে হংকং- করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি সোমবার (২০ জুন) ১ হাজার ১৮৬টি নতুন স্থানীয় সংক্রমণ রেকর্ড করেছে। সোমবার (২০ জুন) বিকেল পর্যন্ত সরকার ৩৬টি সংক্রমণের সন্ধান পাওয়ার পরে গেমিং হাব ম্যাকাও স্কুল এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও ক্যাসিনোগুলো খোলা রয়েছে। সংক্রামনের ভয়ে, প্রতিবেশি প্রদেশ ঝুহাই সীমান্ত ক্রসিংয়ের এলাকাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
চীন এখনো টিকা এবং লকডাউকের মাধ্যমে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, যেখানে বাকি বিশ্ব কিভাবে করোনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে হয় তা শেখার চেষ্টা করছে।
এদিকে, গত বসন্তে করোনার আরেকদফা ক্ষতিকারক প্রাদুর্ভাবের পর, বিশেষত সাংহাইতে, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়ানোর জন্য চাপের সম্মুখীন হচ্ছে চীন। কারণে চলতি বছরের শেষের দিকেই চীনে দলীয় কংগ্রস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
এসি
আরও পড়ুন