ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১, আহত ৩১
প্রকাশিত : ১০:৪৫, ২৬ জুন ২০২২
কিশ দ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের একটি দৃশ্য
একটি ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগান। এতে অন্তত একজন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৫ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৭ মিনিটে ২২ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বলে জানায় ইরানি গণমাধ্যম।
তেহরান ইউনিভার্সিটির সিসমোলজি বিভাগের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পারস্য উপসাগরীয় দ্বীপ কিশ এবং চরক বন্দরের মধ্যে। যা ৫৪.০৩ ডিগ্রী দ্রাঘিমাংশ এবং ২৬.৫২ ডিগ্রী অক্ষাংশে অবস্থিত।
জানা যায়, হরমোজগান প্রদেশটি ১৪টি ছোট দ্বীপের আবাসস্থল। যেখানে পারস্য উপসাগর বরাবর বৃহত্তম উপকূলরেখা রয়েছে। যার পরিমাপ প্রায় ১০০০ কিলোমিটার।
কিশ আইল্যান্ড হাসপাতালের প্রধান মোস্তফা নাদেলিনেজাদকে উদ্ধৃত করে ইরনা জানিয়েছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে আহত হওয়া চারজনের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া একটি বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে একজন মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন এবং তার রক্তপাতও হয়েছে।
নাদেলিনজাদ বলেছিলেন, "অপারেশন রুমে নিয়ে তাকে অস্ত্রোপচার করা সত্ত্বেও ব্যক্তিটি তার আঘাতের তীব্রতার কারণে মারা গেছেন।"
কিশ আইল্যান্ড হাসপাতালের প্রধান আরও বলেন, আহত ৩১ জনের বেশিরভাগই এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আরব উপসাগরের কিশ দ্বীপটি তেহরানের দক্ষিণে ১,০২৫ কিলোমিটার (প্রায় ৬৪০ মাইল) দূরে অবস্থিত। গত ১০ দিনে দ্বীপটি বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পনের দ্বারা কেঁপে উঠেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারাও এই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভব করেছেন। তবে সরকারি এমিরেটস নিউজ এজেন্সি ডব্লিউএএম বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
ইরানের ভূখণ্ডে মূলত বড় ধরনের সিসমিক ফল্ট রয়েছে এবং এর ফলে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে একটি করে ভূমিকম্প হয়। ২০০৩ সালে একটি ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প ঐতিহাসিক বাম শহরকে একেবারে ধসিয়ে দেয়। যাতে ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়।
এরপর ২০১৭ সালে পশ্চিম ইরানে আঘাত হানা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬শ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। সূত্র- আল আরাবিয়্যা।
আরএমএ//এনএস//
আরও পড়ুন