বিস্ফোরণ ছাড়াই নিনজা মিসাইল দিয়ে জাওয়াহিরিকে হত্যা
প্রকাশিত : ১৭:১৩, ২ আগস্ট ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি। কাবুলে তার বাড়িতে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হয়েছেন।
অথচ সিআইএর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি এবং সেখানকার ছবিগুলোতে বিস্ফোরণের কোনো চিহ্নও দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও বলছেন, ড্রোন হামলায় জাওয়াহিরি ছাড়া আর কেউই আহত বা নিহত হননি। এমন কি তার পরিবারের সদস্যরাও অক্ষত রয়েছেন। শুধু একটি জানালা ভেঙে গেছে। বাড়িটির বাকি সব জানালাও অক্ষত রয়েছে।
পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার সময় জাওয়াহিরি বারান্দায় একাই হাঁটছিলেন। শুধু তিনিই নিহত হয়েছেন। অথচ আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির সেই বাড়িটিতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন
তাহলে এমন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কীভাবে সম্ভব?
জাওয়াহিরির ওপর হামলা ইঙ্গিত করছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করতে ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরনাইনএক্স ব্যবহার করেছে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে কাবু করার সক্ষমতা থাকায় এটিকে নিনজা মিসাইল বলেও ডাকা হয়।
ধারণা করা হয় এটি এমন এক মিসাইল যার ওয়ারহেডে লাগানো থাকে ছয়টি ধারালো ব্লেড, যার আঘাতে বিস্ফোরণ হয় না, কিন্তু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু টুকরা টুকরা হয়ে যায়।
বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করতে পেন্টাগন ও সিআইএর প্রিয় অস্ত্র হয়ে উঠেছে নিনজা হেল ফায়ার।
২০১৭ সালে আল কায়েদার সিনিয়র নেতা আবু আল-খায়ের আল-মাসরি সিরিয়ায় গাড়িতে অবস্থান করার সময় একই রকম ড্রোন হামলায় নিহত হন।
সে সময়ের ছবিগুলোতে গাড়ির ছাদে একটি বড় গর্ত দেখা যায় এবং এর অভ্যন্তরীণ সব কিছু এবং ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা মুহূর্তেই টুকরা টুকরা হয়ে যায়। কিন্তু গাড়ির সামনে ও পেছনে অক্ষত থাকে।
গাড়ির ছবিগুলিতে গাড়ির ধাতুসহ ছাদ দিয়ে একটি বড় গর্ত দেখা গেছে এবং এর অভ্যন্তরীণ সব অংশ, যার মধ্যে থাকা ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে টুকরা টুকরা হয়ে গেছে৷ কিন্তু গাড়ির সামনে ও পেছনে সম্পূর্ণ অক্ষত দেখা গেছে।
এমএম/
আরও পড়ুন