দোনেৎস্কে ইউক্রেন-রাশিয়া জোর লড়াই
প্রকাশিত : ১১:১০, ৫ আগস্ট ২০২২
রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই পক্ষই জানিয়েছে, দোনেৎস্কের কাছে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ লড়াই শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন
দোনেৎস্কের গভর্নর জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনের এই শহরের একটি বাসস্ট্যান্ডে বৃহস্পতিবার একটি গোলা এসে পড়ে। সে সময় বাসস্ট্যান্ডে অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘটনাস্থলেই বেশ কিছু বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত অসংখ্য। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রবল লড়াই হচ্ছে সেখানে।
তোরেৎস্ক, পিস্কি অঞ্চলে প্রবল লড়াই হচ্ছে। ওই অঞ্চলের মানুষকে পালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও রাস্তায় মুহূর্মুহূ গোলাবর্ষণ হচ্ছে। ফলে বেসামরিক মানুষ পালানোরও সুযোগ পাচ্ছেন না। দোনেৎস্ক শহর এখন রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে। ২০১৪ সাল থেকেই তারা সেখানে কার্যত দুর্গ বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু শহরতলিতে ইউক্রেন সেনাঘাঁটি তৈরি করে রেখেছে। রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চেষ্টা করছে, শহরতলি থেকে ইউক্রেনের সেনাকে সরিয়ে দিতে। কিন্তু ইউক্রেনের সেনা পাল্টা দোনেৎস্ক শহর দখলের চেষ্টা করছে। সে কারণেই প্রবল লড়াই চলছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, দোনেৎস্ক শহরের কেন্দ্রস্থলে রাশিয়ার সেনার একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সে সময় ইউক্রেন সেখানে মিসাইল হামলা চালায়। তবে সেই ঘটনায় হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান রাশিয়া দেয়নি। ইউক্রেন রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দোনেৎস্কের ঠিক পাশে মাইকোলেইভেও তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে গোলার আঘাতে একটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। এই শহরেই ইউক্রেন সেনাঘাঁটি বানিয়ে লড়াই চালাচ্ছে। ফলে রাশিয়া একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালাচ্ছে। অন্যদিকে ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু প্রকল্পের আশপাশেও লড়াই চলছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়া সেখানে ৬০টি রকেট ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ। এক লাখ সাত হাজার মানুষ এই অঞ্চলে থাকেন। তাদেরকেও পালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এখানেই পরমাণু কেন্দ্রটির দখল নিয়েছে রাশিয়া। অভিযোগ, তার ভিতর থেকে হামলা চালাচ্ছে তারা। জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, তারা নিয়মিত ওই কেন্দ্রটি খবর পাচ্ছে না।
ইউক্রেনের বন্দর থেকে প্রথম জাহাজটি তুরস্ক হয়ে লেবাননের পথে। এবার ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে আরো তিনটি জাহাজ যাত্রার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে তুরস্ক। এই জাহাজগুলিও কৃষ্ণসাগরের পথ দিয়ে ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
তুরস্কের মধ্যস্থতায় এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবদানে খাদ্যশস্য ভর্তি জাহাজগুলি একের পর এক যাত্রা শুরু করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছিল।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/
আরও পড়ুন