রুশদিকে হামলাকারী ছেলে সম্পর্কে যা বললেন মা
প্রকাশিত : ১০:১৪, ১৬ আগস্ট ২০২২
সম্প্রতি বক্তব্য দেয়ার সময় মঞ্চে উঠে সালমান রুশদিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে চরম আলোচনা ও বির্তকের সামনে এসেছে ২৪ বছরের হাদি মাতার। ছুরি দিয়ে সে আঘাত করে লেখকের ঘাড়ে এবং তলপেটে। তার আঘাতের জেরে রুশদির একটি চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
আর এ নিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্রের কাছে মুখ খুললেন সেই হাদির মা সিলভানা ফেরদৌস।
ছেলের কৃতকর্ম নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করলেন তিনি। জানান, লেবানন থেকে ঘুরে আসার পরই বদলে যায় তার ছেলের আচরণ ও মানসিকতা।
সিলভানা ফেরদৌস আরও জানান, লেবাননবাসী বাবার সঙ্গে দেখা করতে লেবানন পাড়ি দিয়েছিল হাদি। কিন্তু লেবানন থেকে ফেরার পরেই নাকি সে হঠাৎ খামখেয়ালি আচরণ করতে শুরু করে এবং অন্তর্মুখী স্বভাবের হয়ে যায়।
ফেরদৌসের কথায়, “আমি ভেবেছিলাম স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে হাদি চাকরি-বাকরির চেষ্টা করবে। কিন্তু দেখলাম ও বাড়ির নীচে একটা ঘরে নিজেকে বন্দি করে ফেলল। মাসের পর মাস ও আমার সঙ্গে বা ওর বোনেদের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেনি।”
ছেলের এমন পরিবর্তিত আচরণ এবং মানসিকতার কথা বলতে গিয়ে হাদির মা আরও জানান, সে দিনের বেলা নিজের ঘরে ঘুমাত এবং রাত হলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেত।
আরও জানা যায়, একদিন নাকি মা’কে উদ্ধত ভঙ্গিতে সে জিজ্ঞাসা করে, কেন তাকে ধর্মীয় বিষয়ে উৎসাহ না দিয়ে লেখাপড়া করার জন্য জোর করা হয়েছে?
রুশদিকে চেনেন কি না এই প্রশ্নের উত্তরে, হাদির মা জানান, রুশদির নাম তিনি শোনেননি। তবে হাদির বোন তাকে এসে জানায় ঘটনাটির কথা।
এই ঘটনায় যে তারা মর্মাহত এবং বাকি দুই সন্তানকে বড় করার স্বার্থে তিনি যে আর হাদির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন হাদির মা সিলভানা ফেরদৌস। সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ//এনএস//
আরও পড়ুন