কেনিয়ায় রুটোকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা, সংঘর্ষের আশঙ্কা
প্রকাশিত : ১০:৩৩, ১৬ আগস্ট ২০২২
উইলিয়াম রুটো
রাইলা ওডিঙ্গা নয়, কেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদে ভোটে জিতে গেছেন উইলিয়াম রুটো। নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ভোট গণনা শেষে সোমবার (১৫ আগস্ট) পূর্ব আফ্রিকার দেশটির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট রুটোকেই নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।
যা নিয়ে দেশটিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিগত দুইবারের নির্বাচনের মতো ফলাফল নিয়ে এবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কেনিয়ার নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, উইলিয়াম রুটো তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গার চেয়ে অতি সামান্য ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। রুটো ৫০.৪৯ ভাগ ভোট পেয়েছেন। আর ওডিঙ্গা পেয়েছেন ৪৮.৮৫ শতাংশ ভোট।
গত ৯ আগস্ট কেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ফল গণনা শেষ হয় সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে। ভোট গণনায় দীর্ঘসূত্রিতার কথা স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোট গণনা শুরুর পর কয়েক ধাপে আংশিক ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন জানায়, ওডিঙ্গা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রুটোকে প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।
ফলাফল ঘোষণার আগমুহূর্তেও নাটকীয়তার আশ্রয় নেয় নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। কেনিয়ার সাতজন ইলেক্ট্রোরাল কমিশনের মধ্যে চার কমিশনার ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে ঘোষণা দেন, তারা এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরিস্থিতির দায় নিতে পারবেন না। এ নিয়ে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা।
ওই চার ইলেক্ট্রোরাল কমিশনার বলেন, ভোটের যে ফল ঘোষণা হতে যাচ্ছে, তার দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না। এসময় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ভোটের ফল নিয়ে প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
এদিকে এবারই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৫ বছর বয়সী উইলিয়াম রুটো। তিনি নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন।
অন্যদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছে ওডিঙ্গার দল। এ নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা, দেশটিতে নির্বাচন নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইতিহাস রয়েছে।
২০০৭ সালের নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে সংঘর্ষে ১,২০০ মানুষ প্রাণ হারায়। এরপর ২০১৭ সালের নির্বাচনেও সহিংসতায় প্রাণ যায় শতাধিক মানুষের। সূত্র- রয়টার্স ও বিবিসি।
এনএস//
আরও পড়ুন