তালেবানের এক বছরে উন্নতি নাই আফগানিস্তানে
প্রকাশিত : ১১:৩৫, ১৬ আগস্ট ২০২২
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরে ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি জনগণের। বরং অর্থনৈতিক সংকট বাড়ায় কঠিন হয়েছে জীবনযাপন। সমাজের সকল ক্ষেত্রে বঞ্চিত নারীরা। তালেবান সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পেলে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট অবিশ্বাস্য দ্রুততায় প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী কাবুলের পতন ঘটে। কাবুল ছেড়ে পালান তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। প্রাণভয়ে ভীত হাজার হাজার মানুষও ছেড়ে যান নিজ দেশ।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান বলেছিল, তারা আর আগের মতো হবে না। তাদের এবারের শাসন আগেরবারের চেয়ে নমনীয় হবে। অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের কথাও বলেছিল।
নারী অধিকার রক্ষার কথা বললেও তা মানছে না তালেবান। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাস্তায় বেরিয়ে মুখ না ঢাকলে পরিবারের পুরুষ বাবা, ভাই বা স্বামী সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকছেন। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বিমানে ওঠাতেও নিষেধ রয়েছে নারীদের জন্য।
তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশটিতে নারীর প্রতি সহিংসতা থাকলেও তারা পড়াশোনা ও চাকরি করতেন। কিন্তু এখন পরিবার বা দেশের জন্য কোনো অবদান রাখতে পারছেন না নারীরা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতেরও কথা বলেছিল তালেবান। কিন্তু তারা স্বাধীনতাই কেড়ে নিয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্ব বলছে, দোহার শান্তিচুক্তির শর্ত মানছে না তালেবান। তারা আশ্রয় দিচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদাকে, যা শর্তভঙ্গের অন্যতম কারণ।
তালেবান সরকারের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই অন্য দেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে না তারা। ফলে বহির্বিশ্বে দূতাবাস স্থাপন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না।
এএইচ
আরও পড়ুন