ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

দিল্লির সাহায্য চায় কলম্বো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। এবার সেই বেহাল অর্থনীতি থেকে উদ্ধার পাওয়া ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে দিল্লির একান্ত সাহায্য চেয়েছে কলম্বো।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন কথা বলেছেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত মিলিন্দ মোরাগোড়া। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, চীনের জাহাজকে তাদের হাম্বানতোতা বিমানবন্দরে নোঙর করতে দেওয়া ঘিরে নয়াদিল্লির সঙ্গে তিক্ততা কমাতে সক্রিয় কলম্বো। 

রাষ্ট্রদূত মিলিন্দ মোরাগোড়া বলেছেন, “এ বিষয়ে যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন দেশে নৈরাজ্য চলছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে আলোচনাই হয়নি। ভারতের নিরাপত্তার সমস্যা তৈরি হয়, এমন কিছু আমরা করব না। ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট নীতি কাঠামো তৈরি করব। এটাও দেখা হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, শ্রীলঙ্কার এই নরম সুরের পিছনে রয়েছে তাদের বেহাল অর্থনীতি, চিনের ঋণ ফাঁদ এবং ভারতের পাশে দাঁড়ানো।

এর আগেই শ্রীলঙ্কার বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ‘ইউয়ান ওয়াং ফাইভ’ নামের ওই চিনা জাহাজটিকে বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এই শর্তে যে এটি শ্রীলঙ্কার জলসীমায় কোনও গবেষণা চালাবে না। 

ভারতের মতে, চীনা জাহাজের লক্ষ্য ভারতীয় কার্যকলাপের উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানো এবং এ কারণে তারা তীব্র আপত্তিও জানায়। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউয়ান ওয়াং ফাইভ চীনের সর্বাধুনিক স্পেস-ট্র্যাকিং জাহাজগুলির অন্যতম। ওই জাহাজ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ, রকেট ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, তিন মাস আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং পরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন মিলিন্দ। তর মাধ্যমে তৎকালীন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে বার্তা পাঠান, ভারত ইতিমধ্যেই যে ৩৫০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তার জন্য তরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাদের দেশ এখন অভূতপূর্ব সঙ্কটের মুখোমুখি। তাদের আশা, ভারত আরও এক বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় মোরাগোড়া আরও বলেছেন, “দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দু’ভাগে ভাগ করছি আমরা। প্রথমটি পরিস্থিতির হাল ধরে একটু থিতু হওয়া। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। প্রথম ক্ষেত্রে দিল্লি আমাদের পাশে থেকেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্যও ভারতের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আশা করছি।”

সৌর শক্তি, বিদ্যুৎ, বন্দর পরিচালনা, তেল শোধনাগারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি ভারতের বিনিয়োগ চেয়েছেন। 

শ্রীলঙ্কার দূতের কথায়, “শুধু বিনিয়োগই নয়, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সমন্বয়ের কথাও ভাবছি আমরা।”
সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/ এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি