ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি হ্যাক
প্রকাশিত : ২০:৪১, ৯ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ২২:০৪, ৯ অক্টোবর ২০২২
ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভিতে শনিবারের লাইভ সংবাদ সম্প্রচার হ্যাক করেছে প্রতিবাদকারীরা। দেশটির সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ প্রচারে বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে।
সংবাদ চলাকালে হঠাৎই টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে একটি মুখোশ, এর পরপরই দেখা যায় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনির ছবি এবং তার চারপাশ ঘিরে আগুন জ্বলছে।
প্রতিবাদকারী হ্যাকাররা তাদের নাম দেয় "আদালত আলি" বা "আলির বিচার"।
কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর জেরে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা অসন্তোষে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতের সময় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে তিনজনকে হত্যা করার পর টিভি বুলেটিনকে টার্গেট করে এই প্রতিবাদ দেখানো হল।
মাথার চুল ঠিকমত না ঢাকার অভিযোগ এনে ইরানের নৈতিকতা রক্ষাকারী পুলিশ মিজ আমিনিকে আটক করে। ২২ বছর বয়সী এই ইরানি কুর্দি গ্রেফতারের তিন দিন পর পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মারা যান ১৬ই সেপ্টেম্বর।
তার মৃত্যুর পর সারা ইরান জুড়ে নজিরবিহীন প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত নটার খবর যখন চলছিল, তখন হঠাৎই খবর প্রচারে বিঘ্ন ঘটানো হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ছবিতে তার মাথা লক্ষ্যবস্তু করে গুলির নিশানা দেখানো হয়, সেইসঙ্গে দেখানো হয় মাহসা আমিনি ও সাম্প্রতিক প্রতিবাদে নিহত আরও তিনজন নারীর ছবি।
একটি ক্যাপশান ছিল এরকম- "আমাদের সাথে যোগ দিন, মাথা তুলে দাঁড়ান"; আরেকটি ক্যাপশানে লেখা হয় "আপনার থাবা থেকে আমাদের তরুণদের রক্ত ঝরছে"।
এই বিঘ্ন স্থায়ী হয় মাত্র কয়েক সেকেন্ড। তারপরই তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
আয়াতোল্লা আলি খামেনির বিরুদ্ধে এধরনের বিদ্রোহ ঐতিহাসিকভাবে নজিরবিহীন। কারণ ইরানের ভেতর তিনিই প্রায় সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী। কিন্তু মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর তার বিরোধিতা ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
বিশেষ পুলিশ বাহিনীর আটক কেন্দ্রে অজ্ঞান হয়ে যাবার তিন দিন পর মাশা আমিনি মারা যান ১৬ই সেপ্টেম্বর। তার পর থেকেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইরানের বিভিন্ন শহরে
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসবি/
আরও পড়ুন