জলবায়ু তহবিলের অর্থ পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
প্রকাশিত : ১০:৩২, ২৮ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১০:৩৫, ২৮ অক্টোবর ২০২২
জলবায়ু তহবিল গঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থ সহায়তায় প্রতিশ্রুতি রাখছে না ধনী দেশগুলো। গেল ১০ বছরে ১ লাখ কোটি ডলারের মধ্যে জোগাড় হয়েছে মাত্র ৮৩০ কোটি ডলার। যার মধ্যে বিতরণ হয় মাত্র ৮ শতাংশ। প্রশ্ন উঠেছে, তহবিল ব্যবস্থাপনা ও অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও। ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকে থাকলেও প্রত্যাশিত অর্থ পায়নি বাংলাদেশ।
শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলো অতিমাত্রা কার্বন নিঃস্বরণ করছে। বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু। আর এর প্রভাবে বন্যা, খরা, ঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়তে হচ্ছে এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশকে।
এমন বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার পরিবেশবাদী বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত অর্থসহায়তা দাবি তাদের। এ অবস্থায় ২০০৯ সালে উন্নত ও ধনী দেশগুলো প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্তু প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। পরবর্তি ১০ বছরে এ তহবিলে ১ লাখ কোটি ডলার জমা হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে অনেক কম।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার মতে, বাস্তবে মাত্র ৮ হাজার ৩শ কোটি ডলার দিয়েছে ধনী দেশগুলো। সে হিসাবে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট সহায়তার মাত্র ৮ শতাংশ পেয়েছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো।
কারণ ব্যাখ্যা করেন গ্যাবনের জলবায়ু মন্ত্রী অধ্যাপক লি হোয়াইট। জানান, পুরো প্রক্রিয়া ভুলে ভর্তি। দাতা দেশগুলো কাকে কত অর্থ দিচ্ছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে অল্প কিছু অর্থ দিলেও জটিল প্রক্রিয়ার কারণে খোদ ধনী দেশগুলোর পরামর্শ মেনে পদক্ষেপ না নিলে অর্থ পাওয়াও কঠিন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড় বড় এজেন্সি অর্থ বাগিয়ে নেয় বলে দাবি তার। প্রকৃত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো কিছুই পায় না।
সোমালিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো তার দৃষ্টান্ত। ঝুঁকির তালিকায় প্রথম সারিতে হলেও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে বাংলাদেশ ২০২০ সাল পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র সাড়ে ২৫ কোটি ডলার। আর সোমালিয়ার ঘরে এই অংক এখনও শূন্য।
এসবি/
আরও পড়ুন