ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘লাতিন আমেরিকার ৮২ মিলিয়ন মানুষ হুমকির মুখে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৮, ২৫ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

লাতিন আমেরিকায় দারিদ্র চরম আকার ধারণ করেছে। অঞ্চলটির ৮২ মিলিয়ন লোক চরম দারিদ্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশন জানিয়েছে, করোনা মহামারীর ধীর গতিতে পুনরুদ্ধার এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে লাতিন আমেরিকায় দারিদ্র বৃদ্ধি পেয়েছে।

লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশনের নির্বাহী সচিবজোস ম্যানুয়েল সালাজার জিরিনাচস বলেছেন, ‘দারিদ্র এবং চরম দারিদ্রের পরিপ্রেক্ষিতে মহামারীর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।’ 

এই চিত্র অঞ্চলের জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, কোভিড-১৯ মহামারীর আগে ২০১৯ সাল থেকে আরও ১২ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্রের সম্মুখীন হয়েছে।

সালাজার-জিরিনাচস একটি ‘বাহ্যিক ধাক্কার নির্ঝর’ এর দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যেমন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দা, চাকরির বাজারের দুর্বল পুনরুদ্ধার এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি।

সান্তিয়াগো ভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থাটি বলেছে, চরম দারিদ্রের পরিসংখ্যান এই অঞ্চলের জন্য ‘এক শতাব্দীর এক চতুর্থাংশের বিপত্তি।’

অক্টোবরে, সংস্থাটি এই অঞ্চলে ৩ দশমিক ২ শতাংশের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির উচ্চতর পূর্বাভাস দিয়েছে। যাই হোক, এটি ২০২৩ সালে ১ দশমিক ২ শতাংশের প্রত্যাশিত বৃদ্ধির সাথে অর্ধেক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের সংস্থা লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে শিক্ষার উপর মহামারীর মারাত্মক পরিণতিগুলোও তুলে ধরেছে। বিশ্বের অন্য কোথাও ৪১ সপ্তাহের তুলনায় গড়ে ৭০ সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রয়েছে।

১৮-২৪ বছর বয়সী যুবকদের সংখ্যা যারা পড়াশোনা করছেন না বা কাজ করছেন না তাদের সংখ্যা ২০১৯ সালে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি