ঢাকা, মঙ্গলবার   ১১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বকাপে হারের পর ফ্রান্সে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:৪৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর ফ্রান্সের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন সমর্থকরা। তাদের সামলাতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে দেশটির পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। এমন পরাজয় মানতে পারেনি ফ্রান্সের সমর্থকরা। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তাই প্যারিসসহ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করে তারা। উত্তেজিত ভক্তদের সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফ্রান্সের উত্তাল রাজপথের টুকরো টুকরো ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

ফ্রান্স সরকার ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য প্যারিসে বা অন্য কোনও শহরে ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ বসানোর অনুমতি দেয়নি। ফলে সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে বড়পর্দায় খেলা দেখা হয়নি। রোববার ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য শহরের নানা প্রান্তে বার কিংবা রেস্তরাঁয় জড়ো হয়েছিলেন মানুষ। কিন্তু তারা স্বপ্নভঙ্গের সাক্ষী থেকেছেন। অধরা থেকে গিয়েছে বিশ্বকাপ।

তবে ফাইনালের পর প্যারিসে আর্জেন্টিনার দূতাবাসের ছবিটা ছিলো ভিন্ন। সেখানে বহু আর্জেন্টিনীয় সমর্থক জড়ো হয়ে ফাইনালের রুদ্ধশ্বাস জয় উদযাপন করেছেন।

যদিও ফাইনালের দিন ফ্রান্সের রাস্তায় যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য দেশটিতে মোতায়েন ছিল ১৪ হাজার পুলিশ।

এর আগে এএফপির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপ ফাইনালকে সামনে রেখে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ফ্রান্স ফাইনালে জিতলে প্যারিসের রাস্তায় বিপুল জনসমাগম হতে পারে। 

১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপ জেতার পর চ্যাম্প-এলিসি অ্যাভিনিউ হয়ে উঠেছিল উৎসবের কেন্দ্রস্থল। 

২০১৮ সালেও সেখানে অন্তত ছয় লাখ মানুষ নেচে-গেয়ে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করেছেন। সে জন্য যান চলাচলের জন্য রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে মোতায়েন ছিল ২ হাজার ৭৫০ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি