ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রত্যয় বাইডেনের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। 

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমরা আপনার সঙ্গে আছি, এটা (যুদ্ধ জয় করতে) যতক্ষণ লাগে।”

তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার সবাই; ডেমোক্র্যাট কিংবা রিপাবলিকান সবাই জানে রাশিয়াকে থামানোটা কেন জরুরি।”

এর আগে হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন জো বাইডেন। বৈঠক শেষে এই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই বলেন, এই যুদ্ধের অবসান চান তারা। তবে বিষয়টি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘ইচ্ছার ওপরই’ নির্ভর করছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, “আমরা দুজনই চাই যুদ্ধ শেষ হোক। আমি যেমনটা বলেছি, এই যুদ্ধ আজই থেমে যেতে পারতো যদি পুতিনের সেই সম্ভ্রম থাকতো এবং ঠিক কাজটি করতে পারতেন এবং তিনি যদি (সেনাদের) বলতে পারতেন, তোমরা ফিরে আসো।” কিন্তু এখন এমনটা ঘটবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্ন তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই তার জবাব দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে যুদ্ধে জেতানোর জন্য সাহায্য করে যাবে।”

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জেরে যুদ্ধ অবসানের বিষয়টিও উঠে আসে। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করার আগে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি বলেন, তার পরিবার ইউক্রেনে থাকে। বাইডেন যদি সাহায্য না করতেন তবে তার পরিবারের সদস্যরা হয়তো মারা যেতে পারতেন। পরে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কী আশা করা হচ্ছে?

এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তিনি তো আপনার লোক।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাসির রোল পড়ে। পরে সামলে নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘সাংবাদিককে ইতিমধ্যে আমিও পছন্দ করে ফেলেছি।’

পর জেলেনস্কি এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “এত দুর্ভোগের জন্য হামলাকারীরা (রাশিয়া) ইতিমধ্যেই দায়ী। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে শান্তি আসতে পারে না। এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।” শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি রাশিয়াকে আহ্বান জানাতে পারেন না বলেও উল্লেখ করেন জেলেনস্কি।

এরপর এ বিষয়ে বাইডেন কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা দুজন আলোচনা করেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য একই। সেটা হলো, মুক্ত, স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ইউক্রেন; আমরা দুজনই যুদ্ধের সমাপ্তি চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রকে এখন ‘সত্যিকারের অংশীদার’ ও ‘মিত্র’ বলেও উল্লেখ করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “বিশেষ করে যুদ্ধের শেষ ৩০ দিনে ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকারের অংশীদার ও মিত্রে পরিণত হয়েছে।”
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি