ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: সর্বশেষ পরিস্থিতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১৩:০৮, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে রোববার রাশিয়ার গোলা বর্ষণে তিন জন নিহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি এ কথা জানিয়েছেন। 

তিনি তার সান্ধ্যকালীন বক্তব্যে বলেছেন, ‘রুশ বাহিনী সারাদিন নৃশংসভাবে গোলা বর্ষণ করেছে। এতে তিনজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।’ 

গতবছর নভেম্বরে খেরসন শহর থেকে মস্কোর সেনা প্রত্যাহারের পর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ শহর ও আঞ্চলিক রাজধানী ঘন ঘন গোলাবর্ষণে কেঁপে ওঠে। 

এদিকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে চারতলা একটি আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় এক বৃদ্ধা নারী নিহত ও আরো তিনজন আহত হয়েছে। ভবনটি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। 

আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের গভর্ণর এ কথা জানিয়েছেন। 

এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়ায় সম্প্রতি তীব্র লড়াই চলছে। মস্কোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি রেলওয়ে সেতুতে কিয়েভের হামলায় চারজন নিহত হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে দ্রুত পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সমরাস্ত্র চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এক ভিডিওবার্তায় পশিমা মিত্রদেশগুলোর কাছে দ্রুত অস্ত্র সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।

খেরসন, জাপোরোঝিয়াসহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের আরো দু’টি অঞ্চল রাশিয়া অন্তর্ভূক্তির ঘোষণা দিলেও এসব এলাকা মস্কো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি।

এদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সোমবার ইউক্রেনকে সামরিক সমর্থন জোরদারে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সংঘাতময় দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি না করার নীতি পুনর্বিবেচনা করারও মত দেন তিনি।

স্টলটেনবার্গ তার এশিয়া সফরের প্রথম ধাপে সিউলে রয়েছেন। ইউক্রেন সংঘাত ও চীন থেকে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার অংশ হিসেবে তিনি জাপানও সফর করবেন। 

তিনি রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ইউক্রেনের আরো গোলাবারুদের জরুরি প্রয়োজন উল্লেখ করে কিয়েভকে আরো সাহায্য করার জন্য সোমবার সিউলের প্রতি আহ্বান জানান।

ন্যাটো প্রধান জার্মানি ও নরওয়ের মতো দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন ‘সংঘাতময় দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি না করার জন্য দীর্ঘস্থায়ী নীতিগুলো ন্যাটো গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর সংশোধন করে।

তিনি সিউলের চেই ইনস্টিটিউটে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘আমরা যদি স্বাধীনতা, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, যদি আমরা স্বৈরাচার ও সর্বগ্রাসীভাবে জিততে না চাই তবে তাদের অস্ত্র দরকার।’
দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বব্যাপী একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ এবং সম্প্রতি ন্যাটো-সদস্য পোল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে বিপূল সংখ্যক ট্যাঙ্ক বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে সক্রিয় সংঘাতের দেশগুলোতে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ। যে কারণে সিউল বলেছে যে, কিয়েভকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করা কঠিন। তবে অ-মারাত্মক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া গত বছর ন্যাটোতে তার প্রথম কূটনৈতিক মিশন চালু করেছে।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনের সংঘাত কখন শেষ হবে তা স্পষ্ট নয়, পুতিন আরো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং উত্তর কোরিয়াসহ দেশগুলো থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করছেন।

পিয়ংইয়ং মস্কোতে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং রোববার বলেছে ‘নিজেদের রচিত গুজব’ ছড়াতে থাকলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাস্তবিকই অনাকাঙ্খিত ফলাফলের সম্মুখীন হবে।

উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিভাগের মহাপরিচালক কোওন জং গুন বলেছেন একটি অস্তিত্বহীন কোনো কিছু তৈরি করে (উত্তর কোরিয়া) এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা গুরুতর উস্কানি যা কখনই অনুমোদিত হতে পারে না এবং এটি এর প্রতিক্রিয়াকে আতঙ্কিত করতে পারে না।

তিনি এটিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার প্রস্তাবকে ন্যায্যতা দেওয়ার একটি অপকৌশল বলেও অভিহিত করেছেন।

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিয়েভকে মস্কোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র ৩১টি আব্রামস ট্যাঙ্কের শ্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি