ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কিছু দেশ বিলীন হয়ে যাবে: জাতিসংঘ মহাসচিব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবী প্রতিনিয়ত উত্তপ্ত হচ্ছে। দ্রুত গতিতে গলছে হিমবাহ এবং বরফ। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে নিচু উপকূলীয় অঞ্চল এবং ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ কথা বলেন। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বিতর্কে গুতেরেস বলেন, “উনিশ শতকের পর থেকে ব্যাপক হারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েই চলেছে। এতে নিচু উপকূলীয় অঞ্চলগুলো অত্যন্ত হুমকির মুখে রয়েছে। ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকলে নিচু অঞ্চল এমনকি পুরো দেশ অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, চীন, ভারত এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এছাড়া ব্যাংকক, জাকার্তা, লাগোস, লন্ডন, লস এঞ্জেলেস, মুম্বাই, মাপুতো, নিউ ইয়র্ক, সাংহাই এবং বুয়েনস আইরেসের মতো বড় শহরগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মানুষ বড় বিপদের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি দশজনের একজন মানুষ এই মারাত্মক হুমকির পড়েছে।  

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী প্রতিনিয়ত উত্তপ্ত হচ্ছে। হিমবাহ এবং বরফ গলে যাচ্ছে। নাসার গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টার্কটিকা প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন টন বরফ গলছে। গ্রিনল্যান্ডের বরফ আরও দ্রুত গলছে বলে দাবি করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, প্রতি বছর গ্রিনল্যান্ড থেকে ২৭০ বিলিয়ন টন বরফ গলে সমুদ্রের পানিতে মিশে যাচ্ছে। এছাড়া বিগত ১১ হাজার বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে গত শতাব্দীতে মহাসাগরগুলো দ্রুত উষ্ণ হয়েছে।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে গুতেরেস বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তের নেতিবাচক প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকতে হবে। ফলে জলবায়ু ফান্ডের জন্য ১০০ বিলিয়ন অর্থ প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।”
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি