ভারতে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো ‘সমৃদ্ধি’ লাভ করেছে: গবেষণা
প্রকাশিত : ১৭:৩৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৩
ভারতে বিদ্যুৎ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টয়লেট এবং মোবাইল ফোনে সুযোগ নিশ্চিতের প্রকল্পে জোর দেওয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং সামাজিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলো উল্লেখযোগ্য ‘অগগ্রতি’ লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের একটি গবেষণা পত্রে এই ‘সাফল্যের চিত্র’ উঠে এসেছে, যেখানে মানুষের রান্নার গ্যাস সংযোগ এবং জল সরবরাহের প্রতি আরও মনোযোগী দৃষ্টিভঙ্গির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমিকা রবি ‘অ্যা সেকুলার ডেমোক্রেসি ইন প্র্যাযকটিস: অবজেকটিভ অ্যাসেসমেন্ট অব অ্যামেনিটিস প্রোগ্রামাস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক ওই গবেষণা করেন। ভারতের জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার চতুর্থ এবং পঞ্চম রাউন্ডের ডেটা এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে ধর্মভিত্তিক আলাদা হিসাব তৈরি করা হয়েছে। শুমারির ২০ শতাংশ প্রান্তিক পরিবারের ওপর গবেষণা করা হয়েছে।
২০১৫-১৬ সালের তুলনায় ২০১৯-২১ সালে পরিবারগুলোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির অনুপাত করা হয়েছে গবেষণায়। ধর্ম, সামাজিক গোষ্ঠী এবং ভৌগোলিক এলাকা ভিত্তিক একই বিশ্বাসের সম্প্রদায়গুলোর সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ‘২০১৪ সাল থেকে ভারতে গণতন্ত্র হ্রাস পাচ্ছে’ এমন অনুধাবন নির্ভর প্রচলিত বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
ওই বক্তব্যের বিপরীতে বলা হয়েছে, “আমাদের গবেষণালব্ধ ফলাফলগুলো দেখাচ্ছে, সরকার ধর্ম, বর্ণ বা বসবাসের স্থান নির্বিশেষে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির চাহিদার প্রতি সোচ্চার, যা ভারতে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার একটি বিকল্প এবং আরও শক্তিশালী সূচক।” (সূত্র-টাইমস অব ইন্ডিয়া)
কেআই//
আরও পড়ুন