সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে খার্তুমে বিমান হামলা
প্রকাশিত : ০৯:০৮, ২৩ মে ২০২৩
এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে, ভূমিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সুদানের সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুমে সোমবার বিমান হামলা চালিয়েছে। নগরবাসীরা এ কথা জানিয়েছেন। ত্রান সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, এক সপ্তাহের এই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা।
উভয় পক্ষই বলেছে, তারা স্থানীয় সময় রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে (১৯ঃ৪৫ জিএমটি) শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে। আগের যুদ্ধবিরতির সময় লড়াই অব্যাহত থালেও, এটি হচ্ছে প্রথম যুদ্ধবিরতি, যার জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে দুপক্ষ সম্মত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর পাশাপাশি, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিসহ একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। এই দুই দেশ, জেদ্দায় আলোচনার পর, চুক্তিতে পৌঁছার বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছে।
এই চুক্তি একটি যুদ্ধ-বিরতির আশা জাগিয়েছে। এই যুদ্ধে প্রায় ১১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে আড়াই লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন। এই যুদ্ধ, অস্থির অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তোলার হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
বাসিন্দারা ক্রমবর্ধমান অনাচার এবং লুটপাটের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহে বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন। তারা আরো জানান যে কিছু অঞ্চলে খাবারের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে এবং বেশিরভাগ হাসপাতাল তাদের সেবা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে।
পরিকল্পনা ছিলো, সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগালো একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন; যার আ্ওতায় বেসামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক পরিবর্তন শুরু হবে।এমন সময় খার্তুমে যুদ্ধ শুরু হয়। উল্লেখ, মোহাম্মদ হামদান দাগালো হেমেদতি নামেও পরিচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সুদান জুড়ে কমপক্ষে ৭০৫ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ হাজার ২৮৭ মানুষ। তবে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
এসবি/
আরও পড়ুন