ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চীনের সঙ্গে আলোচনায় তাদের পূর্বশর্ত মেনে নেবে না যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫২, ২৬ মে ২০২৩ | আপডেট: ২০:৫৪, ২৬ মে ২০২৩

বেইজিং এর সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচানায় চীনের সঙ্গে পূর্বশর্তগুলো যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। অন্যদিকে ইউক্রেইনে যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার ওপর চীন তার প্রভাব ব্যবহার করতে ইচ্ছুক হবে, এমন খুব বেশি ইঙ্গিতও তিনি দেখছেন না। ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার ভয়েস অব আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো চিফ নাইকি চিংকে সাক্ষাতকারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন।

আগামী জুনের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গ্লোবাল চিফ অব মিশন কনফারেন্স সামনে রেখে এই সাক্ষাতকারে চীন ও ইউক্রেইন আলোচনা উঠে আসে।
আসন্ন ওই কনফারেন্স ঘিরে মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনে ফিরবেন। ভয়েস অব আমেরিকা এই সাক্ষাতকার তুলে ধরেছে এক প্রতিবেদনে। ভয়েস অব আমেরিকা: গ্রীষ্ম কাছাকাছি চলে আসায় ইউক্রেইনের বসন্তের পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে কী বলবেন।

ডেরেক চোলেট: আমরা আমাদের অন্যান্য ৫০ অংশী জোট মিলে ইউক্রেইনকে তাদের নিজেদের রক্ষায় ও অঞ্চল ফিরে পেতে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করছি। ইউক্রেইনীয়দের পাল্টা আক্রমণ ও তাদের লক্ষ্য কী সে নিয়ে তাদের কথা বলার সুযোগ তৈরি করছি।
ভয়েস অব আমেরিকা: ইউক্রেইনকে কোন দেশগুলো এফ-১৬ দিতে ইচ্ছুক বা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে?

ডেরেক চোলেট: আমরা এখন সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলোর মাধ্যমে কাজ করছি। পেন্টাগন সহকর্মীরা এফ-১৬ নিয়ে আলোচনা করতে গোটা ইউরোপ ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এফ-১৬ কর্মসূচি শুরু করতে হবে  প্রশিক্ষণ দিয়ে। কারণ এগুলো এমন বিমান যা পরিচালনা করা সহজ নয়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ তাদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

এই বিমানগুলো কারা সরবহার করবে সেটি আমরা কাজ করছি। আমরা নিজেরা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি মনে করি না যে, এই সিস্টেমটি পাল্টা আক্রমণের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হতে চলেছে। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য ইউক্রেনের প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করলে তাদের প্রতিহত ও রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই বিমানগুলো একটি আধুনিক ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে।

ভয়েস অব আমেরিকা: মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, চীনের রাষ্ট্রদূত লি হুই রাশিয়া যাওয়ার আগে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর পরিদর্শন করছেন। চীনের শান্তি প্রতিষ্ঠার এই চেষ্টাকে কীভাবে দেখেন? চীনের কী সেই বিশ্বাসযোগ্যতা আছে?

ডেরেক চোলেট: এটি ভাল জিনিস যে চীনারা এখন ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে কথা বলছে। একজন দূত পরিদর্শনও করেছেন। সত্যিকার অর্থেই এই প্রচেষ্টায় আমি অনেক প্রত্যাশা করছি।

আমি বলতে চাচ্ছি, ইউক্রেইন যুদ্ধে চীন সহায়ক যা করতে পারে তা হলো, রাশিয়াকে যুদ্ধ থামানোর জন্য বলা। গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিলে আগামীকালই এই যুদ্ধ শেষ হতে পারে। তবে  পুতিন খুব শিগগিরই এমন কিছু ভাববেন, সেটার কোনো নজির আমি দেখছি না।

ভয়েস অব আমেরিকা: যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে পুতিনের যোগসূত্র দেখছে কি না?
ডেরেক চোলেট: স্পষ্টতই রাশিয়ার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন বেশ কয়েকবার সাক্ষাত করেছেন। ইউক্রেইন যুদ্ধের আগে তারা ব্যাপক সীমাহীন অংশীদারিত্বের কথা বলে অনেক দীর্ঘ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

আমরা আমাদের চীনা বন্ধুদের যা করতে বলব তা হলো, রাশিয়ার উপর তাদের যে প্রভাব রয়েছে, সেটি ব্যবহার করা যুদ্ধ থামাতে বলা। তবে তারা যে সেটি করতে ইচ্ছুক, তেমন কোনো কিছু আমি দেখছি না। রাশিয়ার ওপর চীন তার প্রভাব ব্যবহার করতে ইচ্ছুক হয়, তবে পুতিনের মন পরিবর্তনে কাজ করবে। কিন্তু এই সহজ জিনিসটাই আমরা করতে বলছি।

সূত্র- ভয়েস অব আমেরিকা 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি