উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২শ’ ছাড়াল, আহত প্রায় ১০০০
প্রকাশিত : ০৮:৩৮, ৩ জুন ২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫৮, ৩ জুন ২০২৩
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭ জনে। এ ঘটনায় আরও ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপকুমার জেনা জানিয়েছেন যে বালাসোরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭ জনে এবং আহত হয়েছেন ৯০০ জন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৭টা ২০ মিনিটে বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, বালাসোর জেলায় দুই শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। গভীর রাত থেকে ট্রেনের দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীও।
দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ঘটনায় রেলের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওডিশার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই সময় চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে অপর এক মালবাহী ট্রেনের বগির ওপর আছড়ে পড়ে।
প্রদীপ জেনা এক টুইটে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আহত ৮৫০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১০০ জনেরও বেশি অতিরিক্ত চিকিৎসককে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ ঘটনাকে ‘গভীর বেদনাদায়ক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
বেঁচে যাওয়া একজন এএনআইকে বলেছেন, দুর্ঘটনার পর ১০ থেকে ১৫ জন আমার ওপর পড়ে। সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। আমি তখন ধ্বংসস্তূপের নীচে ছিলাম। আমার হাত ও ঘাড়ের পেছনে চোট লেগেছে। ট্রেনের বগি থেকে নেমে দেখি কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে আবার কারো মুখ বিকৃত হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাস কোম্পানিগুলো আহত যাত্রী পরিবহনে সহায়তা করছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমএম//
আরও পড়ুন