ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার লড়াই

আশরাফ শুভ

প্রকাশিত : ০৮:৫৪, ১৩ জুন ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়ে গেছে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তোড়জোড়। এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান নেতারা। প্রচারও শুরু হয়ে গেছে । বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ইমেজ বড় ইস্যু হয়ে উঠবে। 

বুশ প্রশাসনের ‘সাম্রাজ্যবাদী নীতি’ থেকে ওবামার প্রয়োগিক বাস্তবতার নীতি। ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট। সর্বশেষ বাইডেনের আমেরিকার স্বরূপে ফিরে আসার নীতি, এসবই যেন প্রমাণ করে দেশটির রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি কতটা পরিবর্তনশীল। তবে নেতৃত্বের সঙ্গে নীতির এই পরিবর্তন শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় প্রভাব ফেলে গোটা বিশ্বে। 

আগামি বছরের নভেম্বরে ৬০তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিন্তু এখনই জমে উঠেছে প্রার্থিতা পাওয়ার লড়াই।  এরই মধ্যে ফের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যদিও উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাতে ধস, সম্ভাব্য মন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জনপ্রিয়তা কমেছে বাইডেনের। এছাড়া বাইডেনের বয়সের জন্য নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা কমতে পারে। 

বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে মুখিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যৌন হয়ারানি, আর্থিক ও রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী বিরোধী রিপাবলিকান এই নেতা।

তবে ভোট পর্যন্ত যাওয়ার পথটা তেমন মসৃণ হবে না ট্র্যাপের। তাকে টক্কর দিতে নিজ দল রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রায় দের ডজন প্রতিদ্বন্দ্বী উঠে এসেছেন। যার মধ্যে অন্যতম ট্রাম্পের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ট্রাম্প মনোনয়ন না পেলে পেন্সের সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া এই তালিকায় আছেন নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি, ফ্লোরিডার গভর্নর রস ডেসান্টিস, সেনেটর টিম স্কট, নিকি হ্যালি, ভারতীয় বংশভূত বিবেক রামস্বামী, আরকানসাস রাজ্যের গভর্নর হাচিনসন, ল্যারি এল্ডার, ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন, ব্যবসায়ী পেরি জনসন্সসহ অনেকে। 

ডেমোক্রেট শিবির থেকে বাইডেন ছাড়াও রয়েছেন জনপ্রিয় লেখক মারিয়ান উইলিয়ামসন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটে যেই জিতুক নির্বাচনের পর মোর ঘুরে যাবে ইউক্রেন যুদ্ধের। অনেকের ধারণা, ক্ষমতায় আসলে ইউক্রেনে সহায়তা বন্ধ করে দিবে রিপাবলিকানরা। আর বাইডেন ফের ক্ষতায় এলে আরও জোরদার হতে পারে রাশিয়া ও চীনের বিরোধীতা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি