সন্ধান মিলেনি পর্যটকবাহী সাবমেরিনের, ব্যাহত উদ্ধার অভিযান
প্রকাশিত : ০৯:৪০, ২১ জুন ২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪৩, ২১ জুন ২০২৩
এখনও সন্ধান মিলেনি আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পর্যটকবাহী সাবমেরিনটির। ডুবোজাহাজটিতে আর মাত্র ৪০ ঘণ্টারও কম সময়ের অক্সিজেন রয়েছে। আরোহীদের জীবিত খুঁজে বের করতে হাতে একদিনেরও কম সময় আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আটলান্টিকের তলদেশে ঘুটঘুটে অন্ধকার ও হিমশীতল পরিবেশের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযানে।
যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার জন্য ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো যাত্রা করে তখনকার সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক। কিন্তু সেদিনই একটি হিমবাহের সাথে ধাক্কা লেগে ২ হাজারের বেশি আরোহী নিয়ে ডুবে যায় জাহাজটি।
এরপর পার হয়ে গেছে এক শতাব্দীর বেশি সময়। এখনও জাহাজটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের ১২০০ ফুট গভীরে পর্যন্ত ছুটে যান পর্যটকরা। এমনই একটি সাবমেরিন রোববার ৫ আরোহীসহ নিখোঁজ হয়।
ঘটনার পরই সাবমেরিনটির খোঁজে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সাগরে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলো। উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন ও সনার মেশিন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, রোববার সাগরে ডুব দেওয়ার পৌনে ২ ঘন্টা পরে সাবমেরিটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেটের একটি প্যাকেজের আওতায় টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়েছিলেন আরোহীরা। তাদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্থানি বংশভুত ব্রিটিশ ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান। আরেক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং।
এছাড়া ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশ নিজেও সাবমেরিনেটিতে ছিলেন। নেতৃত্ব ছিলেন সাবেক ফরাসি ডুবুরি পল হেনরি।
টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখাসহ ৮ দিনের এই ভ্রমণ প্যাকেজটির টিকিটের দাম ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
এএইচ
আরও পড়ুন