ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

চীনের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৬, ৩০ জুন ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে চীনের সাথে “শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান” করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন অর্থনৈতিকভাবে বেইজিং থেকে “বিচ্ছিন্ন” হচ্ছে না এবং গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে।

ব্লিংকেন ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তাদের সাথে বেইজিং-এ তার বৈঠক শেষ করার কয়েকদিন পর তিনি বলেন, চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটি “স্পষ্ট সমাপ্তি রেখা ” ছাড়াই “দীর্ঘমেয়াদী প্রতিযোগিতা”।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের আগামী সপ্তাহে বেইজিং-এ প্রত্যাশিত সফরের আগে ব্লিংকেন এই মন্তব্য করলেন। তিনি এই সত্য তুলে ধরেন যে, উন্নত সেমিকন্ডাক্টর এবং উইঘুরদের ওপর বেইজিং-এর নিপীড়নের মতো ইস্যুতে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসারিত হচ্ছে।

ইয়েলেন চীনের সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অর্থনৈতিক ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও সমালোচকদের কাছ থেকে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা চান বাইডেন প্রশাসন চীনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করুক।

গত সপ্তাহে বেইজিং-এ ব্লিংকেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক উস্কানি নিয়ে উদ্বিগ্ন কারণ স্বশাসিত গণতন্ত্রের অঞ্চল তাইওয়ান ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে।

ব্লিংকেন চীনের কাছে একথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র স্থিতাবস্থায় কোনোপ্রকার একতরফা পরিবর্তনের বিরোধিতা করে, প্রণালীর দু পারের মতপার্থক্যের শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে। ভয়েস অফ আমেরিকা, ম্যান্ডারিন বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি