উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার চরম অবস্থা
প্রকাশিত : ১৫:১৫, ১৫ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১৫:১৭, ১৫ জুলাই ২০২৩
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ইউরোপ, আমেরিকার বহু দেশ। উল্টোচিত্র দক্ষিণ আফ্রিকার।জোহানেসবার্গসহ দেশটির উঁচু জায়গাগুলোতে প্রথমবারের মতো তুষারে ছেয়ে গেছে। আর বানের জলে ভাসছে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু অংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃতির এই বিরুপ আচরণের প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। আগামীতেও আবহাওয়ার এরকম চরম অবস্থা দেখতে হবে বলেও জানান তারা।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।
স্পেন, ফ্রান্স, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া এবং তুরস্কের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রিসে দাবানলের ঝুঁকি বেড়েছে।
সবচে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। রোম, বোলোগনা এবং ফ্লোরেন্সসহ দেশটির ১৫টি শহরে রেড অ্যালার্ট সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তাপপ্রবাহে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলও। মরু এলাকাগুলোয় ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে। নেভাদা, ওকলাহোমা, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায়ও তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ।
উল্টো পরিস্থিতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গসহ বিভিন্ন শহরে। তুষারপাতের কারণে এসব এলাকার বাড়ির ছাদ ও বাগানগুলো সাদা বরফে ঢেকে গেছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনোই তুষারপাত হয়নি। তীব্র শীতে এসব এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে, টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাটি। বন্যাকবলিতদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যার কারণে চুংছেয়ং প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জনেরও বেশি। ।
অপরদিকে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যমুনার পানি বেড়ে ভারতের রাজধানী দিল্লীর বহু এলাকা জলমগ্ন। যমুনার পানিতে ডুবে আছে দিল্লীর বহু স্থাপনা।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন দিল্লীর নিচু এলাকার বাসিন্দারা। সেনাবাহিনীর সহায়তায় এসব এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
জলপাইগুড়িতে এলাকায় জলঢাকা ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে।
এদিকে, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ কাজ চলছে। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় দুই রাজ্যের কর্তৃপক্ষ ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলেই আবহাওয়ার এই চরম অবস্থা। জলবায়ূ পরিবর্তণের কারণে আগামীতে প্রকৃতির এরকম বিরুপ আচরণ দেখতে হবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
এসবি/
আরও পড়ুন