সীমান্তে শরণার্থী পাঠাচ্ছে রাশিয়া, অভিযোগ পোল্যান্ডের
প্রকাশিত : ১০:০২, ৮ আগস্ট ২০২৩
বেলারুশ সীমান্তে আরো এক হাজার সেনা চেয়েছে পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেখানে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
পোল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থীদের পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করছে রাশিয়া এবং বেলারুশ, দাবি পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, হাজার হাজার শরণার্থী এই পথে পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে কারণেই বেলারুশ সীমান্তে এক হাজার নতুন গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে পোল্যান্ড সীমান্ত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। কয়েক হাজার শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। পোল্যান্ড তাদের ঢুকতে না দেওয়ায় দিনের পর দিন কার্যত জঙ্গলে রাত কাটাতে হয়েছে শরণার্থীদের। কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল। শরণার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল পোল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীর।
সে সময়েও পোল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দাবি করেছিল, শরণার্থী পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া এবং বেলারুশ। সোমবার ফের সেই অভিযোগ জানালো পোল্যান্ড।
পোল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমকে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে এখনো পর্যন্ত ১৯ হাজার শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১৬ হাজার। গত সোমবার ১৬০ জন শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। তার মধ্যে ১৪৭জন সীমান্ত পার করার চেষ্টা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্যই আরো নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন।
এই মুহূর্তে পোল্যান্ড সীমান্তে পাঁচ হাজার সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং দুই হাজার সেনা মোতায়েন করা আছে। এই সংখ্যাটি আরো বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে ভাগনার সেনা বেলারুশে যাওয়ার পরেও পোল্যান্ড সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। ভাগনার সেনারাও পোল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শরণার্থীদের সামনে রেখে পিছন থেকে আক্রমণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা আছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/
আরও পড়ুন