ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কানাডায় ভয়াবহ দাবানল, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ২০ হাজার মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২২, ১৮ আগস্ট ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

কানাডার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল। ইয়েলোনাইফ শহরে প্রায় বিশ হাজার মানুষ বসবাস করে। এদের সবাইকে শুক্রবার সকালের মধ্যে শহর ছাড়তে বলা হয়েছে।

শহরের ক্ষুব্ধ অধিবাসীরা উদ্ধারকারী উড়োজাহাজে আরোহণ করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার জন্য যেখানে নাম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছিল সেখানে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। স্থানীয় একটি স্কুলের বাইরে এ কার্যক্রম চলছিল।

বৃহস্পতিবার নাগাদ দাবানলের অবস্থান ছিল ইয়েলোনাইফের পনের কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। শনিবার নাগাদ এই আগুন শহরের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। পুরো উত্তর-পশ্চিম ভূখণ্ডে অন্তত ২৪০টি দাবানল তৈরি হয়েছে এবং এটি তার একটি। এ কারণে মঙ্গলবার সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার যারা দীর্ঘ সময় ধরে বিমানে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাদের আবারও শুক্রবার বা শনিবার চেষ্টা করতে বলেছেন কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে ভাড়া ও টিকেট পরিবর্তন ফি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে দেশটির বড় দু’টি এয়ারলাইন্সও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

হালকা বৃষ্টির মধ্যেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা লোকজনকে সহায়তার পাশাপাশি তাদের হাতে খাবার ও পানি তুলে দিয়েছেন। তবে স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে সরকারের কমিউনিকেশন বিভাগের ডিরেক্টর অ্যামি কেনেডি জানান, চারশোর বেশি মানুষ শহর ছাড়ার সুযোগ পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি কয়েক ঘণ্টা ধরে যারা লাইনে অপেক্ষমাণ আছে এবং যাদের কাল আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে, তাদের জন্য বিষয়টি হতাশার। যারা হাঁটতে অক্ষম ও প্রতিবন্ধী, তাদের অপেক্ষমাণ লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ২২টি ফ্লাইটে করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং তাতে ১৮শ মানুষ সুযোগ পাবে। তাদের মতে, অন্তত ৫ হাজার মানুষকে বিমানে করে ইয়েলোনাইফ থেকে সরিয়ে নেওয়ার দরকার হবে।

এছাড়া অন্য বিমান সংস্থাগুলোকেও শহর ছাড়তে আগ্রহী লোকজনকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, শহরের মেয়রের সাথে পরিস্থিতি নিয়ে তিনি যোগাযোগ রাখছেন। সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘এখনও সামনের দিনগুলোতে যথাযথ সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়টি আমি পুনর্ব্যক্ত করছি।’

প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বসবাস করে। ওই অঞ্চলের ইতিহাসে বিমান নির্ভর উদ্ধারের ঘটনা এটি সবচেয়ে বড়। ফোর্ট স্মিথ, হ্যা রিভার, এন্টারপ্রাইজ ও জিন ম্যারি রিভার কমিউনিটিগুলো এভাকুয়েশন আদেশের আওতায় আছে।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি