গ্যাবনে সামরিক অভ্যুত্থান, দর্শকের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ৩১ আগস্ট ২০২৩
আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণের কথা বলছে হোয়াইট হাউজ। অথচ ক’দিন আগে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়া নাইজারের প্রেসিডেন্টের মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকায় একের পর এক সেনা অভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটছে। পশ্চিম আফ্রিকার মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজারের পর এবার মধ্য আফ্রিকার গ্যাবনেও হয়ে গেল সেনা অভ্যুত্থান।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলি বোঙ্গো ওনদিম্বাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। আলি গত শনিবার তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের চারদিন পরই তাকে উৎখাত করে আটক করা হয়। গ্যাবনে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জেনারেল ব্রাইস নগুয়েমাকে দেশটির অন্তবর্তীকালীন নেতা ঘোষণা করেছে।
ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ গ্যাবন আফ্রিকার প্রধান তেল উৎপাদক দেশগুলোর একটি। বঙ্গোর পরিবার ৫৫ বছর ধরে এই দেশের ক্ষমতা দখল করে ছিল, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবার তার অবসান হল।
গ্যাবনের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলি বোঙ্গোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে চীন।
এমন পরিস্থিতিতে দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ বলছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক হওয়ায় ঘটনা প্রবাহ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন।
গ্যাবনের এমন সংকটময় অবস্থায় মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকলেও ক’দিন আগেই নাইজারে ঘটে যাওয়া সামরিক ক্যুর বিষয়ে সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সমারিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে নাইজারের পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এএইচ
আরও পড়ুন