বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজার হাসপাতাল, নিহত ৫শ’র বেশি
প্রকাশিত : ০৯:০০, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ০৯:০৫, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার হাসপাতাল। নিহত হয়েছে ৫শ’রও বেশি। এ হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে ইসরায়েল ও হামাস। হামলার প্রতিবাদে এরইমধ্যে ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে ফিলিস্তিন ও জর্ডান।
এদিকে, এ ঘটনার পর পরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাশিয়া।
বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালটি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভয়াবহ এ হামলা হয়।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনটির চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মরদেহ। ধ্বংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে আর্তচিৎকার। হাসপাতালে বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন।
এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গেল ১০ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় আহত শত শত রোগী ও গৃহহীন অসংখ্য মানুষ ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
হামলার প্রতিবাদে এরইমধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে। অনেক জায়গায় ইসরায়েলী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেরও খবর মিলেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ইরান, জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশেও বিক্ষোভ হয়েছে।
হামলার পর পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে ফিলিস্তিন, জর্ডান ও মিশরের প্রেসিডেন্ট। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া কোনো আলোচনা নয়।
২০০৭ সালের পর ফিলিস্তিনের গাজায় এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ একে ‘গণহত্যা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবও।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠকে বসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এএইচ
আরও পড়ুন