‘যুদ্ধ’ থামানোর আর্জি পোপ ফ্রান্সিসের
প্রকাশিত : ১৪:১৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ১৪:১৫, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
ইসরায়েল এবং হামাস দুই পক্ষের কাছেই যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানালেন পোপ ফ্রান্সিস।
রোববার রোমের সেন্ট পিটার্স স্কোয়্যারে প্রার্থনাসভার পর বক্তৃতা দেওয়ার সময় একথা বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
পোপ বলেছেন, ''যুদ্ধে কখনো কারো জয় হতে পারে না। মানব সভ্যতায় যুদ্ধ মানে বরাবরই হার। কারণ, যুদ্ধ মানুষের মধ্যে সদ্ভাব নষ্ট করে।'' এখানেই শেষ নয়, গাজা স্ট্রিপে যাতে আরো মানবিক সাহায্য পাঠানো হয়, তারও আর্জি জানিয়েছেন পোপ। উল্লেখ্য, গত দুই দিন ধরে গাজা স্ট্রিপে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মানবিক সাহায্য পাঠানো শুরু হয়েছে। ট্রাক বোঝাই করে জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ জিনিস যাচ্ছে, তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলি।
হামাস যে পণবন্দিদের এখনো আটকে রেখেছে তাদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন পোপ। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২০০ জনকে পণবন্দি করেছিল। এক মার্কিন মা ও মেয়ে ছাড়া এখনো পর্যন্ত কাউকে ছাড়া হয়নি। হামাস মাঝে জানিয়েছিল, ইসরায়েলের আক্রমণে বেশ কিছু পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, হামাসের ওই আক্রমণের পরেই ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। যার জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা স্ট্রিপের একাংশ।
পোপের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট ফোনে কথা হয়েছে ফ্রান্সিসের। পোপের মতামত নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন মাক্রোঁ
মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন তেল আভিভে। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল, এবং ২০০ জনকে পণবন্দি করেছিল, তার মধ্যে ৩০ জন ফ্রান্সের নাগরিক আছে বলে ফ্রান্স জানিয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। এই সাতজনের একজন পণবন্দি হয়েছেন বলে সম্প্রতি ফ্রান্স জানতে পেরেছে বলে মাক্রোঁ জানিয়েছেন। বাকিরাও এখনো পণবন্দি। কীভাবে তাদের ছাড়ানো যায়, তা নিয়ে একাধিকবার আলোচনায় বসেছেন মাক্রোঁ।
মিশরের কাছে ক্ষমা চাইল ইসরায়েল
ইসরায়েল জানিয়েছে, সংঘাত চলাকালীন তাদের একটি ট্যাঙ্ক ভুল করে মিশরের একটি পোস্টে আক্রমণ চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিশরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে তারা। গাজা সীমান্তের একেবারে কাছে এই ঘটনা ঘটেছে।
বস্তুত, মিশরের এই অঞ্চলেই রাফাহ সীমান্ত। ওই সীমান্ত দিয়েই গাজা স্ট্রিপে মানবিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ওই সীমান্তের কাছে একটি বিরাট বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক মিশর সীমান্তে যে আক্রমণ চালিয়েছিল, তার ফলেই ওই বিস্ফোরণ কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মিশর জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই আক্রমণে বেশ কিছু সীমান্তরক্ষী আহত হয়েছেন।
এদিকে রোববার থেকে গাজায় আক্রমণের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে ইসরায়েল। উত্তর গাজায় লাগাতার বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এরপর সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে বলেও ইসরায়েলের সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/
আরও পড়ুন