মানব জিনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে কিছু দেশ অভিযোগ চীনের
প্রকাশিত : ১৯:৩৬, ১ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৯:৪৮, ১ নভেম্বর ২০২৩
কিছু দেশ মানব জিনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে, চীনের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সোমবার এমন অভিযোগ করেছে। প্রথমবারের মতো চীনা রাষ্ট্রীয় সংস্থা প্রকাশ্যে এমন হুমকির কথা উল্লেখ করেছে।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় তাদের অফিসিয়াল উই চ্যাট অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে বলেছে, কিছু দেশ চীনা জনসংখ্যাকে টার্গেট করছে। তবে তারা কোন দেশের নাম উল্লেখ করেনি বা দাবির সমর্থনে প্রমাণও দেয়নি।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা এতোদিন এই ধরনের অস্ত্রের অস্তিত্বকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে উড়িয়ে দিয়ে আসছিলো।
কাউন্সিল অন স্ট্র্যাটেজিক রিস্কের গবেষকরা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রতিবেদনে বলেছিলেন, প্রতিরোধক হিসাবে জৈব অস্ত্রের হুমকি "অপ্রাসঙ্গিক" কারণ কোনও দেশই এর প্রভাব থেকে নিরাপদ নয়।
কিন্তু চীনের মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, তারা (দেশগুলো) যা করেছে তা সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকি।
জেনেটিক অস্ত্র জৈব-অস্ত্র নামেও পরিচিত। এই জৈবিক অস্ত্র নির্দিষ্ট জাতি বা জাতিসত্তার সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম।
চীনা মন্ত্রনালয়ের মতে, এটি পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করতে ব্যবহার করা হতে পারে।
জৈব অস্ত্রের অস্তিত্বের অভিযোগে চীনা মন্ত্রণালয়েরই প্রথম নয়।
জুন মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র দাবি করেছিলেন, চীনারা জৈব অস্ত্র তৈরি করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করছে।
রাশিয়ান কর্মকর্তারা গত বছর ইউক্রেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে জৈব অস্ত্র তৈরি করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল।
কিংস কলেজ লন্ডনের বায়োকেমিক্যাল টক্সিকোলজির সিনিয়র লেকচারার রিচার্ড পার্সন রাশিয়ার দাবির জবাবে সায়েন্স মিডিয়া সেন্টারকে বলেছিলেন, জাতিগত গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে জৈব অস্ত্র তৈরি করা যেতে পারে তবে তা খুব কম।
অলিভার জোনস, আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির বায়োসায়েন্সেস এবং ফুড টেকনোলজির প্রধান। সায়েন্স মিডিয়া সেন্টারকে বলেছেন, এই দাবিটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর অন্তর্গত।
তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি বাস্তবে এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়, এটি শুধুমাত্র তাত্ত্বিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য।
যদিও ব্যাপকভাবে গৃহীত বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত হল, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণ ছিল না।
জেনেটিক জৈব অস্ত্রের সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে উদ্বেগ নতুন নয়। ১৯৯৯ সালে, ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল, অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হতে পারে।
কেআই//
আরও পড়ুন