গাজায় আর কোনো জায়গা নিরাপদ নেই: জাতিসংঘ
প্রকাশিত : ১৪:২৮, ৪ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৪:৩৬, ৪ নভেম্বর ২০২৩
গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলমান থাকায় সেখানে আর কোনো জায়গাই নিরাপদ নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট মন্তব্য করেছেন সেখানকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের প্রায় কোনো কিছুই করার নেই ।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
সবশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে মধ্য গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে রাফাহ ক্রসিংয়ে যেতে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের বহর। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ঐ হামলায় অন্তত ১৩ জন মারা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হাসপতাাল থেকে আহতদের নিয়ে রাফাহ সীমান্ত পার করছিল ঐ অ্যাম্বুলেন্সের বহরটি। হামাস দাবি করেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা করেছে।
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসও নিশ্চিত করেছে যে তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে। তবে তারা বলছে, ঐ অ্যাম্বুলেন্সটিতে হামাস সদস্যরা ছিল।
বিবিসি এরই মধ্যে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ যাচাই করেছে যেগুলো আল শিফা হাসপাতালের বাইরে বিস্ফোরণের জায়গা থেকে নেয়া হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় বিপুল পরিমাণ রক্তের মধ্যে কয়েকজন মানুষ পড়ে আছে – যাদের মধ্যে কেউ কেউ নিথর হয়ে পড়ে আছে আবার কেউ আহত হয়ে ছটফট করছেন।।
কয়েকটি ভিডিও যাচাই করে দেখা যায় ঐ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত বা নিহত হয়েছেন।
বিবিসি এরই মধ্যে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ যাচাই করেছে যেগুলো আল শিফা হাসপাতালের বাইরে বিস্ফোরণের জায়গা থেকে নেয়া হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় বিপুল পরিমাণ রক্তের মধ্যে কয়েকজন মানুষ পড়ে আছে – যাদের মধ্যে কেউ কেউ নিথর হয়ে পড়ে আছে আবার কেউ আহত হয়ে ছটফট করছেন।।
ব্লিঙ্কেন-নেতানিয়াহু বৈঠক
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বৈঠক করেন এবং মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান করেন। কিন্তু নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত হামলা বন্ধ হবে না।
তেল আভিভে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকে মি. ব্লিঙ্কেন প্রস্তাব তোলেন যেন জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা গাজায় প্রবেশ করার জন্য মানবিক বিরতির আহ্বান মেনে নেয়া হয়।
কিন্তু মি. নেতানিয়াহু জানান যে হামাসের কাছে জিম্মি থাকা বন্দিদের তারা মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি করবেন না তিনি।
যুদ্ধবিরতি আর মানবিক বিরতির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল মানবিক বিরতি অপেক্ষাকৃত কম সময়ের জন্য কার্যকর হয়। কখনো কয়েক ঘণ্টার জন্যও কার্যকর করা হয়ে থাকে মানবিক বিরতি। শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্যই মানবিক বিরতি আহ্বান করা হয়ে থাকে।
হামাসের হাতে এখনও ২০০ জনের বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর শুক্রবার প্রথমবারের মত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে ইসরায়েলের ওপর হামাসের চালানো হামলার প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন. সেসময় লেবানন সংলগ্ন ইসরায়েলের সীমান্তে অইডিএফ ‘অত্যন্ত সতর্ক’ অবস্থায় ছিল বলে জানায় তারা। তাদের আশঙ্কা ছিল হেজবুল্লাহ নেতা তার বক্তব্যে যুদ্ধের ইঙ্গিত দিলে হেজবুল্লাহ সদস্যরা ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করতে পারে।
তবে হেজুবল্লাহ প্রধান তার বক্তব্যে দলটির পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসবি/
আরও পড়ুন