পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা চাপে বৈদেশিক বিনিয়োগে চীনের প্রথম ঘাটতি
প্রকাশিত : ১৭:০৭, ৭ নভেম্বর ২০২৩
তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) চীনের প্রথম ত্রৈমাসিক ঘাটতি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে পশ্চিমা সরকারগুলির ‘নিষেধাজ্ঞা’ পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশী সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ডলারের বিপরীতে অনশোর ইউয়ান ট্রেডিংও অক্টোবরে রেকর্ড-সর্বনিম্ন পরিমাণে পৌঁছেছে, যা ইউয়ান বিক্রয় রোধে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপকে সামনে এনেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত চীনের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টের প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে ১১.৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি ছিল। ১৯৯৮ সালে চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডেটা সংকলন শুরু করার পর এটি প্রথম ত্রৈমাসিক ঘাটতি, যা ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে চীন থেকে পশ্চিমা দেশগুলির ‘নিষেধাজ্ঞা’ এর প্রভাবের সাথে যুক্ত হতে পারে।
ওসিবিসি'র গ্রেটার চায়না রিসার্চের প্রধান টমি শি লিখেছেন, এই অবস্থা চীনের আরএমবির (চীনা মুদ্রা) ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমরা চীনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টেকসই কৌশলগত প্রতিক্রিয়া আশা করছি।
টমি আশা করেন, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রতিকূলতার মুখে মুদ্রাকে সমর্থন করার জন্য দৈনিক ইউয়ান ফিক্সিংয়ে শক্তিশালী পক্ষপাতিত্ব এবং অফশোর বাজারে ইউয়ানের তারল্য পরিচালনাসহ পাল্টা পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
পিপলস ব্যাংক অব চায়না বড় বড় ব্যাংকগুলোকে বাণিজ্য সীমিত করতে এবং গ্রাহকদের ডলারের বিনিময়ে ইউয়ান বিনিময় করতে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
গোল্ডম্যান স্যাকসের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে চীন থেকে বৈদেশিক মুদ্রার পাচার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৬ সালের পর সবচেয়ে বড় পরিসংখ্যান।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেআই//
আরও পড়ুন