মুক্তি পেল আরও ৩০ ফিলিস্তিনী, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর ইঙ্গিত
প্রকাশিত : ০৮:৪১, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
গাজায় যুদ্ধবিরতীর পঞ্চম দিনে ১০ ইসরায়েলি ও দুই থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩০ ফিলিস্তিনী নারী ও শিশু। ইসরায়েল জানায়, একই বন্দি বিনিময় চুক্তিতে আরও ৫ দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬০ ফিলিস্তিনীর মরদেহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন বোমা হামলার চেয়ে চিকিৎসার অভাবে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। আরো জানাচ্ছেন দুলি মল্লিক।
গাজায় বন্দি বিনিময় চলছে। পঞ্চম দিনে মুক্তি পেলো ১০ ইসরায়েলি ও দুই থাই নাগরিক। ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ৩০ ফিলিস্তিনীকে। এ নিয়ে ৫ দিনে ৮১ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এরমধ্যে ৬০ জন ইসরায়েলী। এর বিপরীতে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ১৮০ ফিলিস্তিনি।
নেতানিয়াহু সরকারের মুখপাত্র জানান, চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে আরও ৫ দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য পথ খোলা রয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতিতে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ থাকালেও থেমে নেই মৃত্যু। ইসরায়েলী হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও মিলছে মরদেহ।
গাজা কর্তৃপক্ষ বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় ধ্বংসস্তূপ থেকে কমপক্ষে ১৬০ ফিলিস্তিনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। জানায়, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা না গেলে বোমা হামলার চেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটবে চিকিৎসার অভাবে।
সংস্থাটি বলছে, গাজার জাতিসংঘ পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ব্যাপকহারে ডায়েরিয়া ও শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চিকিৎসা পাচ্ছে না ক্যান্সার আক্রান্তরা।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজায় গেল ৭ সপ্তাহে ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে ১৮ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এরমধ্যে ১১ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে জাতিসংঘের ১৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে।
এএইচ
আরও পড়ুন