ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শীঘ্রই যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইসরায়েল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫০, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

জাতিসংঘ প্রধান ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানানোর’ প্রেক্ষিতে ইসরায়েল বলেছে, বিধ্বস্ত দক্ষিণ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধের ‘শীঘ্রই’ শেষ হবে।  

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে চলা ‘তীব্র যুদ্ধের পর্যায়’ শীঘ্রই শেষ হবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজা থেকে ইতোমধ্যেই উত্তর গাজায় সৈন্য সরিয়ে আনা হচ্ছে। ইসরায়েলেী সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে তাদের চারটি ডিভিশনের মধ্যে সোমবার একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। 

জাতিসংঘ বলেছে, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় করছে এবং খাদ্য, পানি, জ্বালানী এবং চিকিৎসা সেবার জন্য লড়াই করছে।

ইসরায়েল গাজার মানবিক সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার রাতে বোমাবর্ষণে ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।

ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে মারাত্মক সহিংসতা লেবাননের সাথে ইসরায়েলের সীমান্তে গুলি বিনিময় এবং লোহিত সাগরে মার্কিন বাহিনী এবং ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের হামলায় যুদ্ধ গাজা উপত্যকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, অক্টোবরের হামলার সময় অপহৃত ইসরায়েলি বন্দীদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর ঘোষণা করেছে হামাস। একটি ভিডিওতে ইসরায়েল ‘নিরীহ জিম্মিদের ওপর নৃশংসভাবে নির্যাতন চালানোর’ নিন্দা করেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। 

হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইসরায়েল অবিরাম ও নির্বিচার হামলা চালিয়ে গাজায় কমপক্ষে ২৪,১০০ লোককে হত্যা করেছে। যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে। 

গাজার উত্তরে হামাসের সামরিক কাঠামো ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেয়ার পর সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দক্ষিণের খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরে অভিযান এবং বোমাবর্ষণ জোরদার করেছিল।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি