ক্ষমতা হারাচ্ছে জান্তা সেনাবাহিনী, দেশ ছাড়ার হিড়িক
প্রকাশিত : ১২:২৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রতিদিনই পরাজয়ের মুখে পড়ার পাশাপাশি দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতেও ব্যর্থ হচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রাখাইন অঙ্গরাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি সেনা সদস্যদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এছাড়া, মিন পিয়া উপশহরের অন্তর্গত মিন ফু হাসপাতাল ও থায়কান গ্রামেও লড়াই চলছে। এমন অবস্থায় সামরিক বাহিনী দ্রুত জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে। ফলে দেশ ছাড়ছেন বহু মানুষ।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর এই মুহূর্তে তারা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে। এতটা কোণঠাসা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে এর আগে আর পড়তে দেখা যায়নি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। সামরিক বাহিনীকে এই মুহূর্তে সারাদেশ জুড়েই হামলার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সামরিক জেট বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হলে মিন পিয়া উপশহরের অন্তর্গত মিন ফু হাসপাতাল ও থায়কান গ্রামে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আর, রাখাইন অঙ্গরাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি সেনা সদস্যদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
সেখানে বিমান হামলার ফলে বেসামরিক ব্যক্তিরা হতাহত হচ্ছেন। আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুল ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির শিকার হয়েছে।
এছাড়া, মিয়ানমারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে বড় জেড খনির দখল নিয়ে বিদ্রোহী গ্রুপ কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মি এবং সামরিক জান্তার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। গত মাস থেকে মোট ১০টি সেনা ক্যাম্প দখল করেছে কেআইএ।
এরআগে, শনিবার আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধে ৬০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। আর সোমবার পালানোর সময় নিহত হন আরও ২০ সেনা।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রাম, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনের ওপর হামলায় রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বাড়ছে দেশ ছাড়ার হিড়িক। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রাখাইন রাজ্যের অনেক পুলিশ সদস্যই জান্তাদের ত্যাগ করে আরাকান আর্মিতে যোগদান করছে।
এএইচ
আরও পড়ুন