পাকিস্তান থেকে উগ্রপন্থী অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাজ্য
প্রকাশিত : ২৩:৩৯, ৫ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ২৩:৪১, ৫ মার্চ ২০২৪
পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো থেকে চরমপন্থী ইসলামি মতাদর্শের প্রচারকদের ব্রিটেনে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করছে যুক্তরাজ্য সরকার। চরমপন্থী তৎপরতা 'আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি' পাওয়ায় ব্রিটিশ সরকার উদ্বিগ্ন। কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদেশ থেকে আসা সবচেয়ে বিপজ্জনক চরমপন্থীদের চিহ্নিত করে তাদের ভিসা সতর্কতা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের মঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়ার কয়েকদিন পর তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, চরমপন্থীরা দেশের গণতান্ত্রিক এবং বহু-বিশ্বাসের মূল্যবোধের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, 'স্বরাষ্ট্র সচিব নির্দেশ দিয়েছেন, যাদের ভিসা আছে তারা যদি বিক্ষোভে ঘৃণা ছড়ায় বা মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের এখানে থাকার অধিকার কেড়ে নেব।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন সুনাক, যাতে তাদের কর্মকাণ্ড চরমপন্থীদের মত না হয়। এখন সময় এসেছে বিভাজনের শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে এই চরমপন্থী আদর্শকে পরাজিত করার। আমাদের অবশ্যই চরমপন্থীদের মোকাবেলা করতে হবে।
শনিবার ফিলিস্তিনের পক্ষে আরেক দফা বিক্ষোভে হাজার হাজার লোক অংশ নেয়, যার ফলে লন্ডনে মেট্রোপলিটন পুলিশ শান্তি ভঙ্গকারী কর্মকাণ্ডের জন্য ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, 'আমাদের সমাজে চরমপন্থার কোনো স্থান নেই এবং আমরা এমন কৌশল সহ্য করব না যা আইন মেনে চলা সংখ্যাগরিষ্ঠকে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া বা বিঘ্ন ঘটায়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমরা অল্প সংখ্যক বিক্ষোভকারীকে সহিংস ও ঘৃণ্য আচরণ প্রদর্শন করতে দেখেছি এবং চরমপন্থা ও ঘৃণ্য অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা প্রতিবেদনের সুপারিশগুলি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিবেচনা করছি এবং যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব।
কেআই//
আরও পড়ুন