পরাজয় নিশ্চিত জেনে বেপরোয়া জান্তাবাহিনী, জাতিসংঘের উদ্বেগ
প্রকাশিত : ১২:৩৯, ২১ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৭, ২১ মার্চ ২০২৪
মিয়ানমারে বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে লড়াইয়ে পরাজয় নিশ্চিত জেনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জান্তাবাহিনী। নির্বিচারে হত্যা করছে বেসামরিক নাগরিকদের। গেল ৫ মাসে ৫ গুণ বাড়িয়েছে বিমান হামলা। দ্বিগুণ বেড়েছে ল্যান্ডমাইনে হতাহতের সংখ্যা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও। এতে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে এসব তথ্য জানান বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস।
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার তিন বছরে এখন হুমকির মুখে জান্তা সরকারের অস্তিত্ব। বিদ্রোহী জোটের তীব্র আক্রমণে এরইমধ্যে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি এলাকার দখল হারিয়েছে তারা।
আত্মসমর্পণ করেছে ১৪ হাজারের বেশি সেনা। অনেকেই পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে। এমন পরিস্থিতি স্বত্ত্বেও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করছে না জান্তা সরকার।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস বলেন, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে জান্তা বাহিনী।
তিনি জানান, গেল ৫ মাসে মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা ৫ গুণ বাড়িয়েছে জান্তা সরকার। এক বছরে ল্যান্ডমাইনে হতাহতের সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ। হত্যাযজ্ঞে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারী অস্ত্র। টার্গেট করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।
আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে এসে পড়ছে বোমা। সীমান্তে মানুষের মাঝে বাড়ছে আতঙ্কা।
চলমান এ পরিস্থিতিতে জান্তাবাহিনীকে দমনে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকি মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন টম অ্যান্ড্রুস।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, মিয়ানমারে বর্তমানে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ২৭ লাখের বেশি। ৬০ লাখ শিশুসহ প্রায় দুই কোটি মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনতা।
এএইচ
আরও পড়ুন