৩০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করলো মিয়ানমার জান্তা
প্রকাশিত : ২০:৩৫, ২২ মার্চ ২০২৪
সাগাইং অঞ্চলের কালে শহরে ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে মিয়ানমার জান্তা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে জান্তা ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে তারা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠী।
একজন স্বেচ্ছাসেবক দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, জান্তা বাহিনীর গোলাগুলির কারণে বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে। ড্রোন হামলা ও গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু এবং আবাসিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে জান্তা। কালে শহরে কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিরোধ বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা কালেতে তাদের আক্রমণ বাড়ানোর কারণে গুলি ও শেলিংয়ের মাত্রা বাড়িয়েছে জান্তা। এতে প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
চিন রাজ্যের কালে ও পার্শ্ববর্তী খাইকাম শহরের বাসিন্দারা তখন থেকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। বাস্তুচ্যুত লোকেদের সাহায্যকারী একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেছেন, বেঁচে থাকার জন্য বোমা শেল্টার অত্যাবশ্যক। এখানে বারবার জান্তার গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা হচ্ছে। তাই লোকেদের আশ্রয় ও পালানোর পথ তৈরি করা প্রয়োজন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মতে, কালে শহরের ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অনেকের জরুরিভাবে খাদ্য, ওষুধ ও কাপড়ের প্রয়োজন।
জান্তাবিরোধী গোষ্ঠী ভয়েস অব কালের একজন সদস্য ইরাবতীকে বলেছেন, ‘পুরো শহরে প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। আমরা প্রতি রাতে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই এবং আরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।’
১৬ মার্চ প্রতিরোধ বাহিনী শহরটির উত্তরে অং মাইন থার ও কিয়াং তাইক গ্রামে আক্রমণ করে। এখানে ১৪০ জনের বেশি জান্তা সৈন্য ও মিত্র পিউ স এইচটি মিলিশিয়া সদস্য ছিল।
কালের দক্ষিণে কালে টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে মোতায়েন করা জান্তা সেনারা আশপাশের গ্রামগুলোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, ‘কালের প্রতিরোধের আক্রমণ আরও নিয়মতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। জান্তা এলাকা হারাচ্ছে। তারা কালের বাসিন্দাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। বাসিন্দারা যখন সুযোগ পাবে তখনই পালিয়ে যেতে হবে।’
কেআই//
আরও পড়ুন