ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল
প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১০:০০, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
ফাইল ছবি
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন সূত্রের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ ঘটনার পর বেশ কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল বাতিল করার কথা জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
ইসরাইলের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে এ হামলা চালানো হয় বলে এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন সিনিয়র একজন মার্কিন কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবরও দেয়া হয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইসফাহান শহরে নয়, শহরটির কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে। রাজধানী তেহরান থেকে প্রদেশটি দূরত্ব সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। ইসফাহানেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে।
প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে। তবে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “নির্ভরযোগ্য সূত্রের” কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “পুরোপুরি নিরাপদেই” আছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি “নির্ভরযোগ্য” সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।
বিস্ফোরণের খবর দিলেও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি কোনো গণমাধ্যমই। এ হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইরানি প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা।
গত শনিবারে ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই উচ্চ সতর্কতায় ছিলো ইরান। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরাইলকে ইরানের বিরুদ্ধে কড়া কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আহ্বান উপেক্ষা করেই হামলা চালালো ইসরাইলি বাহিনী।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয় তেহরান।
দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। মূলত ওই হামলার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন