আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে জরুরি বৈঠক নেতানিয়াহুর
প্রকাশিত : ২২:০৭, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান এবং তাতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এই পদক্ষেপ ঠেকাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।
গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।
প্রতিবেদন মতে, শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আইসিসির রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে ইসরায়েল সরকার। সম্ভাব্য
বৈঠকে ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।
বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।
সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি। তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়। যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন।
এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েলের সরকার।
এএইচ
আরও পড়ুন