ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে মহুয়া মৈত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১১, ৮ জুলাই ২০২৪

ভারতে ফৌজদারি নয়া দণ্ডবিধি ‘ন্যায় সংহিতা’ চালু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনের কোপে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্লামেন্ট সদস্য মহুয়া মৈত্র। 

পশ্চিমবঙ্গ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল এই এমপির বিরুদ্ধে ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭৯ অনুসারে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মহুয়ার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেও অভিযোগ জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কৃষ্ণনগরের এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দেয়ার কথাও বলা হয়।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারা অনুসারে মহিলাদের মর্যাদাহানি করে এমন ধরনের শব্দ, ইঙ্গিত বা কাজ অপরাধমূলক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। সেই ধারাতেই কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে শাহ-পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে আহত মহিলাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা। সেখানে কোনও একজন তাঁর মাথায় ছাতা ধরে ছিলেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কেন নিজের ছাতা নিজে ধরেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছিল নেট-পাড়া। 

সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেছেন, ‘ছাতা ধরবেন কী করে, উনি তো ওঁর প্রভুর পাজামা ধরেছিলেন’! এই মন্তব্যকে রেখা অশালীন এবং তাঁর পদের মর্যাদাহানিকর বলে নিন্দা করেন।

রেখার বিরুদ্ধে তাঁর এই মন্তব্য অবাঞ্ছিত বলে মনে করছেন অন্য বিরোধী দলের কয়েকজন নেতা। তাঁদের কথায়, অন্য ভাবেও রেখার বিজেপি আনুগত্যের বিষয়টি তুলে ধরা যেত। এতে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হল।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি