বিয়ে করতে এসে ওমান ও কাতারের শেখরা ভারতের কারাগারে
প্রকাশিত : ১১:২৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১১:২৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
কম বয়সী তরুণীদের বিয়ে করতে ভারত গিয়ে ওমান ও কাতারের শেখরা আটক হয়েছেন। ভারতের হায়দ্রাবাদ শহর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আট জন শেখ ও তিন জন কাজীসহ মোট ২০ জন। পুলিশ বলছে, প্রায় এক মাস ধরে নজরদারি আর তথ্য প্রমাণ যোগার করে তারা এই চক্রটিকে গ্রেফতার করে। ভারতে এসে তরুণীদের বিয়ে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ওমান ও কাতারের শেখরা।
হায়দ্রাবাদের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভি সত্যানারায়না বিবিসিকে বলেন, এবাবে কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হতো জাল নিকাহনামা তৈরি করে। তারপরে বিভিন্ন আরব দেশে নিয়ে গিয়ে এই মেয়েদের ৯৯ শতাংশকেই যৌন দাসী হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বাকি কয়েকজনকে দিয়ে ঘরের কাজে করানো হতো।
জাল নিকাহনামা তৈরি ও চুক্তি বিবাহ প্রথা নামের এই কাজে সাহায্য করত এমন তিনজন কাজীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ওমান ও কাতারের যে শেখরা ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজন ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তিও আছেন, যিনি লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন।
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কম বয়সী তরুণীকে বিয়ে করতে এসেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, তিন সপ্তাহের জন্য বিয়ে করে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
চন্দ্রায়নগুট্টা এলাকার একটি গেস্ট হাউসে পুলিশ যখন তল্লাশি চালায়, সেই সময়ে ৭০ বছর বয়সী এক ওমানি নাগরিকের সঙ্গে ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশ কমিশনারের ভাষ্য, কয়েকটি সূত্র থেকে আমরা খবর পেয়েছিলাম যে এরকম একটা চক্র চলছে। গত মাসে একটি মেয়েকে উদ্ধার করার পরে আমরা তদন্তে নেমেছি। বিমানবন্দর দিয়ে আরব দেশগুলির যত নাগরিক - বিশেষত শেখরা শহরে ঢুকেছেন, প্রত্যেকের ওপরে নজর রাখা হচ্ছিল। এরা পুরনো হায়দ্রাবাদের মুসলমান প্রধান এলাকাগুলোর নানা হোটেল বা লজে ওঠেন। তারপরে দালালের মাধ্যমে এই নকল বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
আটক আরব শেখরা গত এক সপ্তাহে ১২ টি কমবয়সী মেয়েকে পছন্দ করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।এখনও শহর জুড়ে তল্লাসি অভিযান চালাচ্ছে হায়দ্রাবাদ পুলিশের তিনটি দল।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
/এম/এআর
আরও পড়ুন