‘রোহিঙ্গাদের ২৮৮ গ্রাম ভস্মীভূত, পাশের বৌদ্ধ গ্রামগুলো অক্ষত’
প্রকাশিত : ১০:১৫, ২২ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১১:১৩, ২২ অক্টোবর ২০১৭
২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনবাহিনীর হত্যাযঞ্জ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বলা হচ্ছে এটা এ পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা শরণার্থী সঙ্কট। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাউটস ওয়াচ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে রাখইনে যে ছবি তুলেছে, তা বিশ্লেষণ করে তারা বলছে, সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোই শুধু পুড়েছে। উত্তর রাখাইনে আগুনে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক পুড়ে গেছে অন্তত ২৮৮টি রোহিঙ্গা গ্রাম। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো পুড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলেও কাছেই রাখাইনের স্থানীয় বৌদ্ধদের গ্রামগুলো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর যে দমনপীড়নের কারণে রোহিঙ্গারা তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ তাকে পাঠ্যবইয়ে জাতিগত নিধনের উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে। যদিও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দাবি করে আসছে বেসামরিক জনগণ তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ২৫শে অগাস্ট থেকে ২৫শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মংডুর শহরতলীতে।
এর মধ্যে তাদের হিসাবে সবচেয়ে বেশি গ্রাম ধ্বংস হয়েছে ৫ই সেপ্টেম্বরের পর যখন দেশটির নেত্রী অং সান সুচি বলেছিলেন সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ হেয় গেছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ছয় লাখ শরণার্থী এখন বাস করছেন কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন শিবিরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শিবির কুতুপালং-এর পরিধি অগাস্ট মাসের পর বাড়ানো হলেও আশপাশে অস্থায়ী শিবিরগুলোতে এখন রয়েছেন প্রায় তিন লাখ ১২ হাজার শরণার্থী।
সর্বশেষ এ সপ্তাহে যে ১৫ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছেন তারা বলছেন রাখাইনে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালানো এখন বন্ধ হলেও তাদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণ এখনও অব্যাহত আছে। তারা বিবিসি বাংলার সাংবাদিককে বলেছেন রুজি রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নেই।
সূত্র : বিবিসি
/ এআর /
আরও পড়ুন