ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোহিঙ্গা বলায় পোপের সমালোচনায় মিয়ানমারের সোশ্যাল মিডিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৭, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ সফরের সময় পোপ ফ্রান্সিস রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। এ শব্দটি উচ্চারণ করায় মিয়ানমারে সোশাল মিডিয়ায় পোপের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে এবিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য পোস্ট করছেন।

ঢাকায় রোহিঙ্গা শব্দটি বললেও এর মাত্র কয়েকদিন আগে পোপ ফ্রান্সিস  মিয়ানমারে থাকা অবস্থায় এই শব্দটি ব্যবহার করেন নি। শুক্রবার ক্যাথলিক খৃস্টানদের ধর্মীয় এই নেতা ঢাকার একটি গির্জায় কয়েকজন রোহিঙ্গার দুর্দশার কথা শোনেন এবং তিনি নিজেও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন।

রোহিঙ্গা শব্দটি মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা রোহিঙ্গাদেরকে কোন জাতিগোষ্ঠী হিসেবেও স্বীকার করে না। তাদের কাছে তারা অবৈধ বাঙালি।মিয়ানমারে গিয়ে তিনি যখন রোহিঙ্গা শব্দটি বলেন নি তখন মিয়ানমারের ক্ষুদ্র ক্যাথলিক গোষ্ঠী তার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিলো। প্রশংসা করেছিলেন কট্টরপন্থী বৌদ্ধরাও।

কিন্তু পোপ ফ্রান্সিস ঢাকায় রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেছেন এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে রোমে ফিরে আসার পথে বিমানের ভেতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শব্দটি না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, পোপ ফ্রান্সিস রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করার পর মিয়ানমারের অনলাইনে এর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ছে। দেশটিতে পাঁচ দশকের মতো সময় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ ছিলো। কিন্তু এখন এই দেশটিতে লোকজন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন।

আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী সোয়ে সোয়ে মন্তব্য করেছেন, "তার একজন সেলসম্যান বা দালাল হওয়া উচিত। একজন ধর্মীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন।"মিয়ানমারের ক্যাথলিক চার্চ থেকে পোপ ফ্রান্সিসকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো তিনি যাতে বিতর্কিত বিষয়ে কিছু না বলেন। কারণ সেরকম কিছু করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এবং সেখানে খৃস্টানদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

পোপ ফ্রান্সিস যখন মিয়ানমারে ভাষণ দেন তখন তিনি তাতে ঐক্য, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে সম্মান জানানোর কথা বললেও, রোহিঙ্গা শব্দটি একবারের জন্যেও উচ্চারণ করেননি।একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ইয়ে লং মিন পোস্ট করেছেন, "পোপ একজন পবিত্র মানুষ। কিন্তু তিনি মিয়ানমারে এক কথা বললেন আবার অন্য একটি দেশে গিয়ে অন্য কথা বললেন। তিনি যদি সত্যকে ভালোবাসেন তাহলে তার সবখানে একই কথা বলা উচিত ছিলো।"অন্যদিকে মিয়ানমারে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা মং থোয়ে চুন পোপের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেছেন, "মানবাধিকার গ্রুপের চাপ সত্ত্বেও মিয়ানমারে তিনি `রোহিঙ্গা` বলেন নি। তার অর্থ তিনি মিয়ানমারের লোকজনকে ভালোবাসেন। এই শব্দটি তিনি বাংলাদেশে বহুবার উচ্চারণ করেন নি। মাত্র একবারই এটা বলেছেন। আমার মনে হয়, মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সন্তুষ্ট করার জন্যে তিনি এ কাজ করেছেন।"

 

সূত্র: বিবিসি

এম/ এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি