আবারও আন্দোলনে উত্তাল তিউনিসিয়া
প্রকাশিত : ১৫:১৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৮
তিউনিসিয়ায় নতুন করে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল তৃতীয় দিনের মতো দেশটির অন্তত ১০টি জায়গায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
আহতদের মধ্যে ৪৮ পুলিশ সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি, বিশেষ করে ওষুধ শিল্পের উপর নতুন করে কর আরোপ ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হার বৃদ্ধির কারণে আগামী বাজেটের পরিমাণ ক্ষমানোর দাবিতে মাঠে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের সরকার কঠোর হস্তে দমন করতে গেলে সহিংসতা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানী তিউনিসে কয়েকশ’ কর্মী আগামী বাজেটে ভ্যাটের পরিমাণ কমাতে মাঠে নামে। এরপরই আরও কয়েকটি শহরে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। তবে গত সোমবার দেশটির রাজধানীসহ আরও কয়েকটি শহরে আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস ও গরম পানি ছোড়ে পুলিশ। এসময় পুলিশের হামলায় এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপরই ২৪০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার চেষ্টায় লিপ্ত। শুধু তাই নয়, পুলিশসহ রাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা, এমন অভিযোগ আনা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের উপর ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ভ্যানে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ইউসেফ শাহেদ আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে বলেন, “এ ধরণের ভাঙচুর কখনো কাম্য নয়। এর মাধ্যমে তারা দেশকে দুর্বল করতে চাইছে।”
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনীসহ প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক, ডাকঘর ও অন্যান্য সরকারি ভবনগুলো বর্তমানে পাহাড়া দিচ্ছে। এরই মধ্যে আগামী শুক্রবার দেশটিতে বড় ধরণের সমাবেশের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশটিতে মাত্র আটাশ দিনের ক্রমাগত প্রতিবাদ, মিছিল ও সমাবেশের মুখে ২৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলি সরকারের পতন হয়। দেশটির মধ্য দিয়েই ২০১১ সালে গোটা আরবজুড়ে শুরু হয় আরব বসন্তের।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/
আরও পড়ুন